সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পানের জামিন মঞ্জুর করলো সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘ ২ বছর ধরে UAPA আইনের অধীনে উত্তরপ্রদেশে জেলবন্দী রয়েছেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এবং পি এস নরসিংহের ডিভিশন বেঞ্চ সাংবাদিক কাপ্পানের জামিন মঞ্জুর করেছে। জামিনের শুনানি চলাকালীন বেঞ্চ বলে, প্রত্যেক ব্যক্তির মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে।
আদলতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফ থেকে উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি কাপ্পানের জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, "২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কাপ্পান PFI (পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া)-এর একটি মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর হাথরসে দাঙ্গা লাগানোর পরিকল্পনা ছিল কাপ্পানদের। এর জন্য কাপ্পানকে ৪৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। PFI একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। ঝাড়খণ্ড রাজ্য এই সংগঠনকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।"
আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, "কাপ্পানের কাছ থেকে কেবল আইডি পাওয়া গেছে, আর কিছু সাহিত্যের বই পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কোনও বিস্ফোরক পাওয়া গেছে কি?"
এর উত্তরে নাসূচক জবাব দেন আইনজীবী জেঠমালানি। আদালতের প্রশ্ন, "প্রত্যেক ব্যক্তির মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। আবেদনকারী জানিয়েছেন তাঁর প্রতি অন্যায় হচ্ছে, তিনি ন্যায়বিচার চেয়েছেন। ওনাকে তা দেওয়া কি আইনের চোখে অপরাধ হবে?"
সিদ্দিকী কাপ্পান একজন দিল্লি-ভিত্তিক মালায়ালী সাংবাদিক। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে উচ্চবর্ণের ব্যক্তিদের দ্বারা এক দলিত নাবালিকার ধর্ষণ ও হত্যার খবর করতে যাওয়ার সময় কাপ্পানকে গ্রেপ্তার করে সে রাজ্যের পুলিশ। কাপ্পানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মুসলিম সংগঠন PFI-এর সদস্য। তাঁকে ৪৫০০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল হাথরসে গিয়ে সন্ত্রাসী কর্যাকলাপ করার উদ্দেশ্যে।
উত্তরপ্রদেশের একাধিক আদালত, এলাহবাদ হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন কাপ্পান। প্রতিবারই তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন