কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে খবর করা দুই সাংবাদিককে শনিবার রাতে সিঙ্ঘু সীমান্ত থেকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশ কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন তাঁরা। এঁদের মধ্যে একজনের নাম ধর্মেন্দ্র সিং, যাঁকে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে কিছুক্ষণ পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়।
অপরজনের নাম মনদীপ পুনিয়া, যাঁকে গোটা রাত সামাইপুর বদলি থানাতে আটকে রেখে আজ সকালে তিহার কোর্ট কমপ্লেক্সে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়েছিল। এক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক বল প্রয়োগ ছাড়াও আইপিসির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে Caravan Magazine-এ কর্মরত মনদীপ পুনিয়ার বিরুদ্ধে। রবিবার দিল্লি পুলিশের সদর দপ্তরের সামনে জড়ো হয়ে সাংবাদিকরা মনদীপ পুনিয়ার মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ দেখান।
এর একদিন আগেই কৃষক আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করায় সাংবাদিক রাজদীপ সারদেশাই সহ পাঁচ সাংবাদিক ও কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে FIR দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। FIR-এ পুলিশ জানিয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল হওয়ার সময় আইটিও এলাকায় এক আন্দোলনকারীর মৃত্যুর খবর নিয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিলেন থারুর ও অন্যান্যরা।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে খবর করা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তীব্র নিন্দা করেছে এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া। এই FIR-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শনিবার দিল্লিতে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার সদর দফতরের সামনে জড়ো হয়েছিলেন বহু সাংবাদিক। প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার সভাপতি আনন্দ সহায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, "বর্তমানে এই পরিবেশ অত্যন্ত বিষাক্ত, ভয়াবহ হয়ে উঠেছে... জরুরী অবস্থার সময়েও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিধি-ব্যবস্থা এতো কঠোর ছিল না। আমি চাইলেই যে কারো বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করতে পারি না।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন