ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরে 'ধর্ম সংসদ'-এ একটি অনুষ্ঠানে মহাত্মা গান্ধীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার জন্য বৃহস্পতিবার ভোরে মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে ধর্মীয় নেতা কালীচরণ মহারাজের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।
কালীচরণের বিরুদ্ধে রায়পুরের টিকরাপাড়া থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন কংগ্রেস নেতা প্রমোদ দুবে, যিনি ওই 'ধর্ম সংসদে' উপস্থিত ছিলেন।
ছত্তিশগড় পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে "তাঁকে (কালীচরণ) আইপিসির ধারা ৫০৫(২) (শত্রুতা, ঘৃণা সৃষ্টি এবং প্রচার করা) এবং ধারা ২৯৪ (প্রকাশ্যে অসঙ্গত কাজ) এর অধীনে মামলা করা হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে, তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫৩ এ (১), ১৫৩ বি (১) ধারার অধীনে অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার ভোরে মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোর কাছ থেকে ধর্মীয় নেতাকে গ্রেফতার করেছে ছত্তিশগড় পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "তিনি (কালীচরণ) মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বাগেশ্বর ধামের কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টায় রায়পুর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।"
কালীচরণ মহারাজ গত ২৫-২৬ ডিসেম্বর রায়পুরে আয়োজিত 'ধর্ম সংসদ'-এ অতিথি ছিলেন এবং নিজের বক্তব্যে তিনি মহাত্মা গান্ধীর প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করে তাঁর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের প্রশংসা করেছিলেন।
ছত্তিশগড় পুলিশের হাতে কালীচরণের গ্রেপ্তারের ঘটনায় দুই প্রতিবেশী রাজ্য - বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মধ্যপ্রদেশ এবং কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ছত্তিশগড় সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছে৷
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র ছত্তিশগড় পুলিশের পদক্ষেপকে আন্তঃরাজ্য প্রোটোকল লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন এবং রাজ্যের শীর্ষ পুলিশকে ছত্তিশগড় ডিজিপির কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাইতে নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল পুলিশের পদক্ষেপকে মান্যতা দিয়ে বলেছেন: "কোন নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়নি। নির্ধারিত নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।"
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন