দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধেই সরাসরি বিবৃতি দিতে বাধ্য হল বিজেপি নেতৃত্ব। কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে মান্ডির বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াতের বিতর্কিত মন্তব্যের দায় এড়িয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিজেপির পক্ষ থেকে দলীয় কোনও নীতিগত বিষয়ে মন্তব্য করার এক্তিয়ার নেই কঙ্গনা রানাওয়াতের। তাকে এই ধরণের মন্তব্য করার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। বিজেপির পক্ষ থেকে আগামী কঙ্গনা রানাওয়াতকে এই ধরণের মন্তব্য করার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন ট্যুইটার) এক ভিডিও শেয়ার করে কঙ্গনা রানাওয়াত দাবি করেন, সরকার যদি অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে কৃষকদের বিক্ষোভ আন্দোলন এখানেও বাংলাদেশের মত পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
এই ঘটনার আগে হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের বিজেপি নেতৃত্ব মান্ডির বিজেপি সাংসদকে এই ধরণের উস্কানিমূলক মন্তব্য করার থেকে বিরত থাকতে বলেন। ওই দুই রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বলা হয়, কৃষকদের বিষয় নিয়ে কঙ্গনার মন্তব্য করার কোনও প্রয়োজন নেই। এটা কঙ্গনার ব্যক্তিগত মন্তব্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কৃষকরা পারস্পরিক বন্ধু। বিরোধীরা এই বিষয়ে আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলার চেষ্টা করছে এবং কঙ্গনার মন্তব্যও একই কাজ করেছে। কোনও স্পর্শকাতর, ধর্মীয় বিষয় অথবা ধর্মীয় সংগঠনের বিষয়ে তাঁর কোনও মন্তব্য করার কোনও প্রয়োজন নেই।
কঙ্গনার এই বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলেছে কংগ্রেসও। বিজেপি সাংসদ কঙ্গনার উদ্দেশ্যে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, ‘আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হন।’
বর্তমান বিজেপি সাংসদ ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের মুখে কৃষক আন্দোলনের বিরোধিতা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার তিনি কৃষক আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন। ২০২০ সালে এভাবেই তিনি পাঞ্জাবের এক কৃষক রমণীকে বিলকিস বানো বলে দাবি করেছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন, মহিলাদের ১০০ টাকা করে আন্দোলনের জন্য ভাড়া করা হয়েছে। তাঁর এই মন্তব্যের জন্য সম্প্রতি চন্ডীগড় বিমানবন্দরে সিআইএসএফ-এর এক মহিলা জওয়ান তাকে চড় মারেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন