হিন্দু বিবাহ আইনে ‘কন্যাদান’ আবশ্যিক নয়। সম্প্রতি এমনই পর্যবেক্ষণ করল এলাহবাদ হাইকোর্ট। শুধুমাত্র ‘সপ্তপদী’ অর্থাৎ সাত পাকে বাঁধা অপরিহার্য। মামলাকারির আবেদন খারিজ করে এমনই জানিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আশুতোষ যাদব নামক এক ব্যক্তি তাঁর শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁকে একটি 'মিথ্যা' অভিযোগে ফাঁসাতে চাইছে।
ওই ব্যক্তি আদালত জানান, তাঁর বিয়ের বৈধতা নেই। হিন্দু নিয়ম মেনে বিয়ে হয়নি তাঁর। কারণ তাঁর বিয়েতে হিন্দু বিবাহের নিয়ম অনুযায়ী 'কন্যাদান' অনুষ্ঠানটি হয়নি। এই আবেদন নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজের দাবিতে প্রথমে ওই ব্যক্তি লখনউ নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হন। যদিও গত ৬ মার্চ লখনউ আদালত ওই আবেদন খারিজ করে দেয়। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হিন্দু বিবাহে ‘কন্যাদানটি অনুষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আশুতোষ যাদব।
এলাহবাদ হাইকোর্টও তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থী জানান, ‘‘হিন্দু বিবাহ আইনে বিয়ের অত্যাবশ্যক রীতি হিসাবে ‘সাত পাকে বাঁধা’-র উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বিয়ের সময় কন্যাদান হয়েছে কি না, তা এ ক্ষেত্রে বিচার্য হবে না।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন