কৃষক সংগঠনের মহাপঞ্চায়েত রুখতে কারনালে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ২৮ অগাস্ট কৃষকদের ওপর লাঠিচার্জ হয় হরিয়ানার কারনালে। সেই অভিযোগে কারনালে মঙ্গলবার বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে মহাপঞ্চায়েতের ডাক দেওয়া হয়। ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি এই কর্মসূচি ঠেকাতে সেখানে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ৪০ কোম্পানি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মহাপঞ্চায়েতে লক্ষাধিক কৃষক হাজির হয়েছেন। উপস্থিত আছে সংযুক্ত কৃষক মোর্চার নেতৃত্বও।
কারনাল ও আশপাশের এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার ভোররাত থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত প্রথমে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা বলা হয়। সোমবার হরিয়ানা স্বরাষ্ট্র দফতর জানায়, ইন্টারনেট পরিষেবা, এসএমএস পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। পরে বিকেলের দিকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে কারনাল সংলগ্ন চার জেলা কুরুক্ষেত্র, কাইথাল, জিন্দ এবং পানিপতে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
হরিয়ানার বিকেইউ প্রধান গুরনাম সিং চাদুনি বলেছেন, প্রশাসনকে ৬ সেপ্টেম্বরের ডেডলাইন দিয়েছিলেন, তাঁদের দাবি মানার জন্য। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সোমবার এই ইস্যুতে বৈঠকও হয়। কিন্তু সেই বৈঠকে সমাধান সূত্র বেরোয়নি। তারপরেই তারা মহা পঞ্চায়েতের ডাক দেন।
চাদুনি জানিয়েছেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করতে চান। কিন্তু প্রশাসন তাতেও বাধা দিচ্ছে। প্রশাসনের ব্যারিকেড ভাঙার হুঁশিয়ারি দিলেও জাতীয় সড়ক অবরোধ করার পরিকল্পনা তাঁদের নেই বলেই জানিয়েছেন। হরিয়ানার পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে (আম্বালা-দিল্লি) যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই জনসাধারণকে অন্য পথে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন