দুই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন কর্ণাটকের লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু এবং মুরুগা মঠের প্রধান শিবমূর্তি মুরুগা শরণারু। দীর্ঘদিন ধরে দুই নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তাঁকে প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস (পকসো) আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও ধর্মগুরুর দাবি চক্রান্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করবেন।
ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের ছ’দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে কর্ণাটক পুলিশ ধর্মগুরুকে হেফাজতে নিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিবমূর্তি মুরুগা শরণারুকে শুক্রবার আদালতে পেশ করা হবে।
চিত্রদুর্গা রুর্যাল পুলিশ স্টেশনের ইন্সপেক্টর বালাচন্দ্র শরণারুকে মঠ চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করে ডিএসপির অফিসে নিয়ে আসেন। এরপর তাঁর মেডিকেল টেস্ট করা হয়। যদিও মঠ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শরণারু নিজে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
নাবালিকাদের উপর নৃশংস যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর শরনারু যৌন অপরাধের বিরুদ্ধে শিশুদের সুরক্ষা (POCSO) আইন এবং তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের অধীনে অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। অপরাধ সংঘটনে তাকে একজন মহিলা ওয়ার্ডেন, এক মঠ পুরোহিত এবং অন্যান্য কর্মীরা সাহায্য করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই মামলায় অপর অভিযুক্ত মঠের পুরোহিত বাসবাদিত্য, মঠ-এর সেক্রেটারি পরমশিবাইয়া এবং অ্যাডভোকেট গঙ্গাধরাইয়া, এখনও পলাতক।
গত ৩১ আগস্ট শিবমূর্তি শরণারুর বিরুদ্ধে এসসি/এসটি আইন এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়। জানা গেছে দুই নাবালিকার একজন দলিত শ্রেণিভুক্ত। মহীশূরভিত্তিক এনজিও ওডানাডি সেবা সংস্থার কাছে দুই নাবালিকা ছাত্রী অভিযোগ জানানোর পর এই মামলা হয়।
এর আগে এই ঘটনায় এনজিও-র অভিযোগের ভিত্তিতে নজরবাদ পুলিশ স্টেশনে এক পকসো ধারার অধীনে এফ আই আর দায়ের করা হয়। দুই ছাত্রীর বয়ান রেকর্ড এবং শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য তাদের জেলা বালা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই আদালত নোটিশ জারি করে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন