কর্ণাটক কংগ্রেসে বিদ্রোহের আগুন। ‘হাত’ ছাড়ছেন অনেকেই। প্রতিদিনই সেই তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। গত সোমবার আগেই কংগ্রেস ছেড়েছেন এইচ এন চন্দ্রশেখর। দু’দিন না পেরোতেই, বুধবার আবার কংগ্রেস ছাড়লেন প্রবীন কংগ্রেস নেতা ব্রিজেশ কালাপ্পা।
আগামী ১০ জুলাই রাজ্যসভার নির্বাচন। তার আগে রাজ্যসভার টিকিট না পাওয়া নিয়ে দলের অন্দরে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভালোই বেগ পেতে হচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্বকে। সেই পরিস্থিতে আবার দল ছাড়ছেন কংগ্রেস নেতারা।
জানা যাচ্ছে, ব্রিজেশ কালাপ্পা একজন প্রবীন কংগ্রেস নেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। ১৯৯৭ সালে তিনি কংগ্রেসে যোগদান করেন। বুধবার, তিনি কংগ্রেস ছেড়েছেন। দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে লেখা ‘এক আবেগপ্রবণ চিঠিতে’ জানিয়েছেন, ‘দলের স্বার্থে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আবেগ তিনি হারাতে শুরু করেছেন।‘
দীর্ঘদিন দলে থাকাকালীন নিজের অবদানের কথা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ব্রিজেশ কালাপ্পা। তিনি লিখেছেন, ‘আমি ২০১৩ সালে থেকে হিন্দি, ইংরেজি এবং কন্নড় চ্যানেলে দলের প্রতিনিধিত্ব করেছি। প্রায় এক দশক ধরে ৬৪৯৭ টি বিতর্কসভায় অংশ নিয়েছি। দল যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা সম্পন্ন করার জন্য নিজের সেরাটা দিয়েছি। কিন্তু, এখন আর সেই আবেগ পাচ্ছি না।‘ সূত্রের খবর, কংগ্রেস ‘হাত’ ছাড়ার পর এবার আম আদমি পার্টি’র ‘ঝাড়ু’ ধরতে পারেন ব্রিজেশ কালাপ্পা।
কর্ণাটকের বিধান পরিষদের মনোনয়ন না পাওয়ায়, গত ২৯ মে দলের সদস্যপদ ছাড়েন প্রখ্যাত কন্নড় অভিনেতা মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রু ওরফে এইচএন চন্দ্রশেখর। এরপর গতকাল কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা আশিস দেশমুখ। রাজ্যে রাজ্যসভার আসনে বহিরাগতদের জায়গা দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন দেশমুখ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন