ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে রক্ষা করছে দল। এই অভিযোগে উত্তাল হয়েছে বিজেপি শাসিত কর্ণাটক। সূত্রের খবর, বুধাবার এ নিয়ে মাইসুরের বিজয়নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা মহিলা। তারপরেই, অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছে দলিত সমাজ। বিক্ষোভে নেমেছেন তাঁরা।
জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত বিজেপি নেতার নাম কে এস মঞ্জুনাথ ওরফে সান্তরো রবি (K.S. Manjunath aka Santro Ravi)। বয়স ৪৮ বছর। তাঁর সঙ্গে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাই, বিজেপি তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছে দলিত মহিলাটি।
ঘটনাটি আসলে কি? বিজয়নগর থানায় দলিত মহিলাটি অভিযোগে জানিয়েছেন, তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী। আর্থিক অভাবের কারণে তিনি কাজের সন্ধান করছিলেন। ২০১৯ সালের ২ মার্চ, সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেখে মঞ্জুনাথের বাড়িতে চাকরির আবেদন নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
এসময় তাঁকে তাকে চাকরির প্রস্তাব দেয়া হয়। এরপর, যখন তিনি কাজে যোগ দিতে আসেন, তখন তাকে জুস দেওয়া হয়। আর, তাতে ওষুধ মেশানো ছিল। যেটি খাওয়ার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।
অভিযোগে মহিলাটি জানিয়েছে, অজ্ঞান অবস্থায় তাঁকে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা। এমনকি, তাঁর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করা হয়।
এখানেই শেষ নয়। পরে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করে অভিযুক্ত মঞ্জুনাথ। এমনকি, বিয়ের পরও তাঁকে হয়রানি ও লাঞ্ছিত করতে থাকে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন দলতি মহিলাটি।
আর, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে দলিত সমাজ। দলিত সংগ্রাম সমিতির জেলা আহ্বায়ক আলাগুডু শিবকুমার হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার যদি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তারা রাজ্যব্যাপী প্রতিবাদ আন্দোলনে নামবে।
তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত সান্ত্রো রবির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তার রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে, সরকারকে মামলাটি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।’
এদিকে, অভিযুক্ত মঞ্জুনাথের সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ এনেছেন জেডি (এস) নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ.ডি. কুমারস্বামী।
এরই মাঝে, অভিযুক্ত মঞ্জুনাথের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসারকে অসম্মানজনক কথা বলছেন অভিযুক্ত মঞ্জুনাথ। কথোপকথনে, তাঁকে 'স্যার' বলে সম্বোধন করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীও তাকে 'স্যার' বলে সম্বোধন করে থাকেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন