কর্ণাটকের এক বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ বেল্লাড বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন, তাঁর ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে এবং তাঁকে জনসমক্ষে অপমান করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে পদ থেকে সরানোর দাবিতে সরব বিধায়কদের একজন এই অরবিন্দ বেল্লাড। বিধায়ক জানিয়েছেন, বিষয়টির তদন্তের জন্য রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ এস বোম্মাই এবং বিধানসভার স্পিকার বিশ্বেশ্বর হেগড়ে কাগেরির কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
হুবলি-ধারওয়াড় পশ্চিমের বিধায়ক অরবিন্দ বেল্লাড বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "কিছুদিন আগে আমার ফোনে একটি নাম্বার থেকে মিসকল দেখে সেই নাম্বারে আমি কলব্যাক করেছিলাম। এক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে জানান তাঁর নাম যুবরাজ স্বামী এবং একটি রাজনৈতিক ঘটনা নিয়ে তিনি আমার সাথে কথা বলতে চান যেখানে আমার নাম জড়িয়ে রয়েছে। আমি বুঝতে পারছিলাম না কে ফোন করেছে, তাই আমি কল কেটে দিয়েছিলাম।"
"তিন চার দিন পরে ওই ব্যক্তি আবার ফোন করে জানান যে তাঁকে বিনা কারণে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল এবং এখন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।"
এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন বিদ্রোহী বিধায়ক। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যেই ব্যক্তিকে তিনি চেনেন না বা আগে যাঁর সাথে তাঁর কখনো কথা হয়নি এবং যেই ব্যক্তির নামে মামলা-মোকদ্দমা রয়েছে, কয়েকদিনের তফাতে এরকম এক ব্যক্তির বারবার কল করার পিছনে নিশ্চয় কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে।
নিজের বাবার কথা উল্লেখ করে বেল্লাড আরো বলেন, "পাঁচবারের বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও আমার বাবা চন্দ্রকান্ত বেল্লাডের রাজনৈতিক জীবনে কোনো কালি পড়েনি। তাঁর ছেলে হিসেবে আমিও তাঁর দেখানো পথেই চলেছি। আমার কোনো ত্রুটি দেখতে না পেয়ে এইধরনের লোককে দিয়ে আমাকে ফোন করিয়ে আমায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পিছনে অনেক বড় হাত রয়েছে।"
তাঁকে বেশ কয়েকজন লোক অনুসরণ করে বলেও অভিযোগ করেছেন বিধায়ক। তিনি বলেছেন, "বেশ কয়েকবার আমি লক্ষ্য করেছি, আমি যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই কিছু লোক যাচ্ছেন। তাঁরা কীভাবে আমার মুভমেন্ট সম্পর্কে জানতে পারছেন? এইসব কিছু দেখে আমার মনে হচ্ছে আমার ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে এবং আমার ওপর নজর রাখা হয়েছে।"
তিনি জানিয়েছেন, বিধানসভার স্পিকার, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ডিজি এবং আইপিজি-কে চিঠি দিয়ে এই বিষয়টি তদন্তের এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন করেছেন তিনি। নিজের জন্য পুলিশি সুরক্ষার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
যদিও বিধায়কের এই অভিযোগকে "সস্তা পাবলিসিটি" বলে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার পলিটিক্যাল সেক্রেটারি রেণুকাচার্য্য। তিনি জানিয়েছেন, কারো ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, অরবিন্দ বেল্লাড যেই যুবরাজ স্বামীর নাম উল্লেখ করেছেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং শক্তিশালী দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। দলে ভালো পদ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে একাধিক বিত্তশালী লোকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন