কর্ণাটক বিধানসভার স্পীকার বিশ্বেশ্বর হেগডে কাগেরি সহ ১১২ জন বিজেপি নেতা এবং হিন্দু সংগঠকদের বিরুদ্ধে থাকা পুলিশি মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই। মঙ্গলবার তিনি এই পুলিশি মামলা প্রত্যাহারের আদেশ জারি করেছেন। ২০১৭ সালে তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের পক্ষ থেকে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং বড় আকারের বিক্ষোভের পরে সিদ্দারামাইয়া-র নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার বিজেপি বিধায়ক কাগেরির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এছাড়াও একাধিক বিজেপি নেতা এবং বজরং দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ২০১৭ সালে স্থানীয় হিন্দু যুবক পরেশ মেস্থের মৃত্যুর পর এই হিংসার ঘটনা ঘটে।
এর আগে রাজ্য সরকার এই সংক্রান্ত ২৬ টি মামলা ফিরিয়ে নিয়েছিল। বর্তমান বিধানসভার স্পিকার কাগেরি এই সিদ্ধান্তের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর হোন্নাভার শহরে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের নিখোঁজ হন পরেশ মেস্তা, দুই দিন পর শেত্তিকেরে লেকের কাছে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় বিজেপি এবং হিন্দু সংগঠকদের অভিযোগ ছিল, জনতার হিংসায় পরেশের মৃত্যু ঘটে এবং হত্যাকারীরা পরে পরেশের দেহ ফেলে যায়। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় এই ঘটনাকে প্রধান ইস্যু হিসাবে তুলে আনা হয়। তখন বিরোধী দলে থাকা বিজেপি ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পূর্ণ আন্দোলন শুরু করেছিল। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আন্দোলনের কারণে কংগ্রেস সরকার ধাক্কা খায়।
পরেশের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে হিন্দু সংগঠকরা আইজিপির গাড়িতে আগুন দিয়েছিল। বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের উপর পাথর ছোঁড়া হয় এবং বহু পুলিশ সদস্য আহত হয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা ওইসময় পরেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়।
যদিও পরেশ মেস্তার মামলায় সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) একটি বি-রিপোর্ট দাখিল করেছিল। পরেশ মেস্তার বাবা মামলার পুনঃতদন্ত চেয়েছেন এবং সিবিআই-এর দায়ের করা বি-রিপোর্টে (ক্লোজার রিপোর্ট) আপত্তি জানিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন