চণ্ডীগড় পৌরসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পর, কর্ণাটকের পঞ্চায়েত নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ফলাফল কংগ্রেসের। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দল ৫০০টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছে বলে জানানো হয়েছে। যা রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপির চেয়ে বেশি। কংগ্রেস জানিয়েছে, সরকার ভোটারদের মেরুকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও, জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে উত্তর দিয়েছে।
কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি এবং কর্ণাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, "কংগ্রেস ৫৮টি পঞ্চায়েতে বিপুল সংখ্যক আসন জিতে একটি দুর্দান্ত ফলাফল করেছে। ৫৮টি পঞ্চায়েতে কংগ্রেস ৫০০টি ওয়ার্ড জিতেছে, যেখানে বিজেপি জিতেছে ৪৩৫টি ওয়ার্ড। জেডি(এস)-এর জয় পেয়েছে ৪৫টি ওয়ার্ডে।"
তিনি আরও বলেন, "ধর্মান্তর বিরোধী আইন এবং মন্দির পরিচালনার মতো তৈরি করা সমস্যাগুলি মানুষকে আর প্রভাবিত করছে না। প্রগতিশীল কান্নাডিগারা বুঝতে পেরেছেন যে এই জাতীয় সমস্যাগুলি বিভাজনকারী শক্তি ছাড়া আর কারোর জন্য নয়।
সুরজেওয়ালা বলেন, "পার্টি আমাদের সমস্ত কান্নাডিগা ভাই ও বোনদের তাদের আশীর্বাদ, দূরদর্শিতা এবং স্থানীয় সংস্থা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতি বিশ্বাসের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে৷ পার্টি সমস্ত কংগ্রেস কর্মী ও নেতাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানায়। যারা জনগণের কাছে পৌঁছেছেন এবং দলের জয়ের পথপ্রদর্শক।"
কংগ্রেস দাবি করেছে যে এই স্থানীয় সংস্থার নির্বাচনে ভোটের ভাগও রাজ্যে বিজেপির জনপ্রিয়তায় একটি বিশাল ধাক্কা দিয়েছে। কংগ্রেসের ভোট শতাংশ যেখানে ৪২.০৬ শতাংশে, সেখানে বিজেপি এবং জেডি (এস) এর ক্ষেত্রে তা যথাক্রমে ৩৬.৯ শতাংশ এবং ৩.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷
কংগ্রেস জানিয়েছে, বিজেপির শাসনে কর্ণাটকে প্রতিদিন সমস্যা বাড়ছে। যদিও দেশও এখন সঙ্কটময় পরিস্থিতির মুখোমুখি কিন্তু সাম্প্রতিক নির্বাচনী ফলাফল দেখিয়ে দিয়েছে যে ভোটাররা মূল্যবৃদ্ধি, আয় হ্রাস, চাকরি, ব্যাপক দুর্নীতি বিষয়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছেন এবং বিজেপি সরকারের জনকল্যাণের প্রতি উদাসীনতায় তাঁরা ক্ষুব্ধ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন