Karnataka: সিদ্দারামাইয়াকে দিল্লীতে জরুরি তলব, আজই সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠক

বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানানোর পরে কর্নাটকে বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়াকে মঙ্গলবার দিল্লীতে ডেকে পাঠাল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। আলোচনা হবে রাজ্য রাজনীতিতে পরবর্তী কৌশল নিয়ে।
Karnataka: সিদ্দারামাইয়াকে দিল্লীতে জরুরি তলব, আজই সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠক
Published on

বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানানোর পরে কর্নাটকে বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়াকে মঙ্গলবার দিল্লীতে ডেকে পাঠাল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।আলোচনা হবে রাজ্য রাজনীতিতে পরবর্তী কৌশল নিয়ে। দলীয় সূত্র অনুযায়ী কংগ্রেস সুপ্রিমো সোনিয়া গান্ধী, সিদ্দারামাইয়া এবং প্রদেশ সভাপতি ডি কে শিবকুমারের মধ্যে ঠান্ডা লড়াইতেও হস্তক্ষেপ কর‍তে পারেন।

উত্তরপ্রদেশে লখিমপুর খেরির ঘটনার বিরুদ্ধে কর্নাটকে আন্দোলন জোরদার করার কৌশল নিয়েও আলোচনা করবেন সোনিয়া।

সিদ্দারামাইয়া সাড়ে বারোটায় সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন। সিদ্দারামাইয়া বিজেপি ও আরএসএসকে তালিবান আখ্যা দিয়েছেন ও সম্প্রতি কেন্দ্রের নেতাদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। এদিকে শিবকুমার জ্বালানি ও দৈনন্দিন জিনিসের দামবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গরুর গাড়ির র‍্যালি, বাইসাইকেল র‍্যালি ও টাঙ্গা র‍্যালি করে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সফল হয়েছেন।

বিরোধী কংগ্রেস ভাল প্রদর্শন করলেও কর্মীরা সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার শিবিরের মধ্যে গভীর ফাটলের ফলে দোটানায়। যদি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জিতে যায় তাই দুজনেরই চোখ মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দিকে।

মেকেদাতু প্রকল্প রূপায়ণের জন্য কংগ্রেস এক মাস সময় দিয়েছে। রাজ্যে বিতর্কিত জাতির ভিত্তিতে জনগণনারও দাবি জানিয়েছে তারা। সিদ্দারামাইয়া নিজেকে তুলে ধরেছেন অনগ্রসর শ্রেণির নেতা হিসেবে। বিজেপির হেভিওয়েটদের সঙ্গেও তিনি টক্কর নিতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বাসনা তিনি আবার জানিয়েছেন।

অন্যদিকে বিশ্বস্ত কংগ্রেসি শিবকুমার তাঁর সাহসী পদক্ষেপের জন্য বিজেপির আক্রমণের লক্ষ্য। তিনিও মুখ্যমন্ত্রীপদে তাঁর দাবি জানাতে কসুর করছেন না। গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে জেডি(এস)-এর সঙ্গে জোট গড়তে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন।

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা প্রকাশ্যে বলেছেন কর্নাটকে বিরোধীরা যথেষ্ট শক্তিশালী। বিজেপি কর্মীদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হাওয়ায় নির্ভর না করে।

কংগ্রেসের কেউ কেউ মনে করেন হাইকম্যান্ড যদি যুযুধান সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমারের মধ্যে শান্তি স্থাপন করতে পারেন তাহলে তাঁরা রাজ্যে শাসক বিজেপির সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারবে এবং গরিষ্ঠতা পাওয়ারও ভাল সুযোগ আছে।উপনির্বাচন, জেলা ও তালুকা পঞ্চায়েত সামনেই তাই হাইকম্যান্ড চায় দুই নেতার নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ের জন্য নির্বাচনে পরাজয় না ঘটে।

- with Agency input

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in