মুখ্যমন্ত্রী থাকার যোগ্যতা নেই বি এস ইয়েদুরাপ্পার। সরকার চালানোর জন্য যে স্পিরিট বা ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন, ইয়েদুরাপ্পার তা নেই। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইয়েদুরাপ্পাকে সরানোর দাবি আরো জোরালো করে একথা বললেন রাজ্যের এক বিজেপি নেতা।
ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে রাজ্যের বিধায়কদের মধ্যে। এমনকি ক্ষোভ প্রশমনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে ১৫ জনের একটি টিম তৈরি করেছে বিজেপি। এই বিষয়ে আলোচনার জন্য রাজ্যের ইনচার্জ অরুণ সিং বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন আজ। সেখানেই স্টেট লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য এইচ বিশ্বনাথ মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, "ইয়েদুরাপ্পাজির নেতৃত্ব ও দলের প্রতি তাঁর অবদানকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু সরকার পরিচালনার জন্য যে স্পিরিট ও শক্তির প্রয়োজন, তা এখনও উনি অর্জন করতে পারেননি। হতে পারে বয়স এবং স্বাস্থ্যের কারণে তা অর্জন করতে পারেননি উনি। কিন্তু সত্যি কথা হলো ইয়েদুরাপ্পার সরকারে সমস্ত মন্ত্রীই অখুশি রয়েছেন।"
অরুণ সিংয়ের সাথে বৈঠকের পর তিনি বলেন, "কর্ণাটকে রাজবংশীয় শাসন চলছে, মোদিজী বারবার যা করতে না বলেছেন। কর্ণাটক বিজেপি নরেন্দ্র মোদীকে ভুলে গেছে। সরকার ক্রমশ নেতিবাচক হয়ে উঠছে, এই বিষয়ে আমি তাঁকে জানিয়েছিলাম।"
রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের সব কাজে ইয়েদুরাপ্পার পরিবার হস্তক্ষেপ করে বলে অভিযোগ করেছেন এইচ বিশ্বনাথ। তিনি বলেন, "রাজ্যের সব বিভাগের সব কাজে তাঁর ছেলে হস্তক্ষেপ করবেন। তাঁর কথাই শেষ কথা।"
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন এই বিজেপি নেতা। তাঁর অভিযোগ, কোনোরকম বোর্ড মিটিং ছাড়াই ২০ হাজার কোটি টাকার সেচ দপ্তরের একটি প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, এইচ বিশ্বনাথ আগে জনতা দল সেকুলার দলের বিধায়ক ছিলেন। ২০১৯ সালে যে ১৮ জন জেডিএস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়ে ইয়েদুরাপ্পাকে ক্ষমতায় এনেছেন তাঁদের মধ্যে একজন এইচ বিশ্বনাথ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন