মধুচক্রের ফাঁদে পড়েই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু বাসবালিঙ্গ শ্রী। বুধবার তদন্তকারী অফিসার এক সংবাদমাধ্যমে একথা জানিয়েছেন। সুইসাইড নোটে এক মহিলার কথাও উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার আত্মহত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু বাসবালিঙ্গ শ্রী, যিনি কাঁচুগল বন্দে মঠের ধর্মগুরু ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছেন, তিনি মধুচক্রের শিকার হয়েছিলেন। এক মহিলার সাথে অশ্লীল ভিডিও কল করেছিলেন। স্ক্রীন-রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে সেই ভিডিও কলের রেকর্ডিং করা হয়েছিল, যা ব্যবহার করে তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিনিয়র তদন্তকারী অফিসার সংবাদসংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়েছেন, সুইসাইড নোটে লিঙ্গায়েত প্রধান লিখেছেন, "এক অজানা মহিলা আমার সাথে এরকম করেছেন।" যদিও এই মহিলার নাম এখনও জানা যায়নি এবং তদন্ত প্রক্রিয়া এখনও চলছে বলে জানিয়েছেন ওই অফিসার।
তদন্তে আরও একটি দিক উঠে এসেছে বলে জানা গেছে। তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান এটি একটি ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের পিছনে মঠেরই এক ধর্মগুরু রয়েছেন, যিনি বাসবালিঙ্গ শ্রী-কে সরিয়ে মঠের প্রধান হতে চান।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এক রাজনীতিবিদ সহ ১০ থেকে ১৫ জন মিলে এই ষড়যন্ত্রটি পরিকল্পনা করেছেন এবং তা ঘটিয়েছেন। আত্মঘাতী ধর্মগুরুকে পরিকল্পনা করে মধুচক্রের ফাঁদে ফেলা হয়েছিল এবং তা ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছিল।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে হেফাজতে নিয়েছে তদন্তকারী কুদুর থানার পুলিশ। এস পি সন্তোষ বাবু জানিয়েছেন, প্রশাসনের তরফে এই ঘটনার তদন্তে কোনো চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। সুইসাইড নোটে বেশ কিছু নামের উল্লেখ থাকলেও ওই নোটে নির্দিষ্ট করে কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন