Karnataka: 'স্বাগত নয়' - কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন না বিজেপি কর্ণাটকের মুসলিম নেতা

তিনি জোর দিয়ে বলেন, "আমি যথেষ্ট লিখেছি এবং আমি দলের সিনিয়রদের কাছে বার্তা দিয়েছি... তবুও তারা এই বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে না। আমি দল থেকে বহিষ্কৃত হলেও কিছু যায় আসেনা।
আনোয়ার মানিপ্পাডি
আনোয়ার মানিপ্পাডিফাইল ছবি আনোয়ার মানিপ্পাডির ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে
Published on

বিজেপি কর্ণাটকের প্রবীণ নেতা আনোয়ার মনিপ্পাডি মঙ্গলবার জানিয়েছেন, দলের নেতাদের মনোভাবের কারণে সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তিনি হুবলিতে অনুষ্ঠিত দুদিনের রাজ্য কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন না।

মনিপ্পাডি আইএএনএস-কে বলেন, "আমিও একজন আমন্ত্রিত। আমি দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। আমি সবেমাত্র ম্যাঙ্গালুরু থেকে ফিরেছি এবং শেষ মুহূর্তে, আমি ভেবেছি আমি (মিটিংয়ে) যাব না কারণ তাদের মনোভাব আমাদের জন্য স্বাগত জানাচ্ছে না। তাই, আমি সেখানে যাব না।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, "আমি যথেষ্ট লিখেছি এবং আমি দলের সিনিয়রদের কাছে বার্তা দিয়েছি... তবুও তারা এই বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে না। আমি দল থেকে বহিষ্কৃত হলেও কিছু যায় আসেনা। আমি টাকা রোজগারের জন্য রাজনীতি করতে আসিনি। আমি সবসময়ই একজন খোলামেলা মানুষ। আমি কখনই কাউকে ভয় পাইনি এবং ভবিষ্যতেও আমি কখনই কাউকে ভয় পাব না।"

রাজ্যের বর্তমান বিজেপি সরকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারা আনা ধারণার প্রয়োগ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ এই সরকার। "'সব কা সাথ, সব কা বিকাশ' ধারণা এখানে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষিত এবং একদমই তা ঘটছে না... এই ধারণা এখান থেকে চলে গেছে। আসলে, তারা সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে মুসলমানদের সম্পূর্ণরূপে অবহেলা করে এর বিরুদ্ধে যাচ্ছে।"

তিনি দাবি করেন, "আমার কাছে অসংখ্য উদাহরণ আছে যে কীভাবে তারা একটি শালীন দাফনের জন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের অধিকার অস্বীকার করে তাদের হয়রানি করছে। গোনাদকা, দক্ষিণ কন্নড় জেলার সুলিয়া এবং বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা অগ্রহারা এবং অন্যান্য জায়গায় ১০ থেকে ১২ বছর ধরে কবর দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সহকারনগরে পুলিশের গুন্ডাদের সহায়তায় একটি চালু মসজিদকে বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, "এই দেশে সবাই সমান অধিকার পেয়েছে। শব্দ দূষণের নিয়ম সবার জন্যই প্রযোজ্য। শুধু মসজিদ কেন? মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য সর্বোচ্চ সময় লাগে ১৫ মিনিট। কিছু মন্দির আছে যেখানে সকাল থেকে কীর্তন/ভজন চলে। সন্ধ্যা পর্যন্ত। এটা খারাপ। আপনি কীভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি আশা করেন? একদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন, অন্যদিকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরিয়াপ্পার ধারাবাহিক শাসনে এবং এখন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এই বিষয়ে কিছুই করেননি।"

ওয়াকফ সম্পত্তির দখলের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলেও মনিপ্পাডি অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, সরকারকে জমা দেওয়া প্রতিবেদন দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশ থাকা সত্ত্বেও, অপরাধীরা মোটা ঘুষের বিনিময়ে সেই কাজ করে চলেছে।

তিনি বলেন, "এই বিষয়টি বহুবার দলের উচ্চ নেতৃত্বের নজরে আনা হয়েছে। কিন্তু, কোন লাভ হয়নি এবং তাঁরা সাড়া দেন না। উল্লেখযোগ্য কিছুই ঘটছে না। কর্ণাটকের এখন অবস্থা খুবই খারাপ। আমি মনে করি কর্ণাটকবাসীদের নিজেদের জেগে ওঠা উচিত এবং সুশাসনের কথা ভাবা উচিৎ। এই রাজ্য এক ধনী এবং দেশের অন্যতম উন্নত রাজ্য হওয়া সত্ত্বেও কিন্তু আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি এবং কোনও প্রগতিশীল কাজ মোটেই হচ্ছেনা।"

তিনি আরও বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যে মরাল পুলিশিং চলছে।

আনোয়ার মানিপ্পাডি
Karnataka: মিড ডে মিলে ডিম দেবার সিদ্ধান্তে ধর্মীয় সংগঠনের আপত্তি, বিরোধিতায় সমাজকর্মীরা

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in