কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। দুজন সিনিয়র নেতা বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগও দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তৃতীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলো বিজেপি, যেখানে ক্ষুব্ধ তিন সিনিয়র নেতার পরিবারের সদস্যদের জায়গা দেওয়া হয়েছে।
২২৪ আসনের মধ্যে এর আগে দু'দফায় মোট ২১২ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। সোমবার রাতে আরও ১০ টি কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। তবে এই তালিকা থেকেও সিনিয়র নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। মাইসুরু শহরের কৃষ্ণরাজা নির্বাচনী এলাকা থেকে এবার টিকিট দেওয়া হয়নি সিনিয়র নেতা এসএ রামদাসকে। যার জেরে দলবদলের ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্ষুব্ধ রামদাস। আজই ভবিষ্যতের পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কৃষ্ণরাজা কেন্দ্রে মাইসুরু জেলা সভাপতি শ্রীবৎসাকে প্রার্থী করা হয়েছে।
আবার কিছু ক্ষেত্রে সিনিয়র নেতাদের টিকিট না দিয়ে, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় প্রার্থী তালিকায় নাম নেই মহাদেবপুরার প্রভাবশালী বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অরবিন্দ লিম্বাবলীর। তবে তাঁর স্ত্রী মঞ্জুলাকে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে বিজেপি। প্রবীণ বিজেপি নেতা কারাদি সাঙ্গান্নার পুত্রবধূ মঞ্জুলা অমরেশকে কপ্পাল কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো হয়েছে। আর এক প্রবীণ নেতা কাট্টা সুব্রামণ্য নাইডুর ছেলে কাট্টা জগদীশকে বেঙ্গালুরুর হেব্বাল কেন্দ্র থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তারের প্রতিনিধিত্বকারী হুবলি-ধারওয়াদ কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক মহেশ টেঙ্গিনাকাইকে। এবারের নির্বাচনে শেত্তারকে টিকিট দিতে অস্বীকার করে বিজেপি। সোমবারই ক্ষুব্ধ শেত্তার কংগ্রেসে যোগদান করেন।
শেত্তার ছাড়াও টিকিট না পেয়ে বিজেপি ছাড়েন প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাভাদি। ১৪ এপ্রিল তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন।
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন