কংগ্রেসের ডাকা নৈশভোজে তিন বিজেপি বিধায়কের উপস্থিতি নিয়ে সরগরম কর্ণাটকের রাজনীতি। ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি বি ওয়াই বিজয়েন্দ্র এই তিন বিধায়কের কাছে ঘটনার কারণ জানতে চেয়েছেন। কংগ্রেস বিধায়কদলের এক বৈঠকের পর এই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিজয়েন্দ্র সাংবাদিকদের জানান, আমি আজ সকালেই বিষয়টি জানতে পেরেছি। বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী ছিল তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আমি আজকেই তাদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করব।
রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি এবং রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার জানিয়েছেন, তিন বিজেপি বিধায়ক কংগ্রেসের কোনও সভায় যোগ দেননি। তাঁরই আমন্ত্রণে সভা শেষে আয়োজিত নৈশভোজে ওই তিন বিজেপি বিধায়ক যোগ দেন।
তিনি আরও বলেন, আমি আলাদাভাবে এক নৈশভোজের আয়োজন করেছিলাম। যেখানে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বেশ কিছু নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাই তাঁরা এসেছিলেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় শিবকুমার জানান, কংগ্রেসের বিধায়ক না হয়েও ওঁরা কীভাবে কংগ্রেস বিধায়কদলের বৈঠকে আসবেন? ওঁরা কেউই আমাদের কোনও বৈঠকে যোগ দেননি। ওঁরা শুধুমাত্র নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন।
কংগ্রেসের নৈশভোজে যোগ দেওয়া তিন বিধায়কের নাম এস টি সোমশেখর, শিবরাম হেব্বার এবং বিধান পরিষদের সদস্য এইচ বিশ্বনাথ। এই তিনজনই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।
যদিও শিবকুমারের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় রাজনৈতিক মহল। তাদের মতে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই তিন বিজেপি বিধায়ক দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। জানা গেছে, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পর থেকে এই তিন বিধায়ক দলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেননি এমনকি বিজেপির ডাকা কোনও বৈঠকেও যাননি।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালে কর্ণাটকে কংগ্রেস জেডিএস সরকার ফেলে দেবার সময় যে ১৭ জন দলবদল করেছিলেন এই তিন বিধায়কও সেই দলে ছিলেন। এঁরা পরে বিজেপিতে যোগ দেন এবং ইয়েদুরিয়াপ্পা মন্ত্রীসভার সদস্য হন। এই তিনজনের মধ্যে সোমশেখর এবং হেব্বার কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিশ্বনাথ বিজেপিতে গেছিলেন জেডিএস থেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন