বিজেপির দল ভাঙানোর খেলায় দল ক্ষমতাচ্যুত অনেকদিন। আগামী বিধানসভা নির্বাচন হতে এখনও দু’বছর দেরি। তবু তারই মধ্যে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তাই নিয়ে প্রকাশ্য বিতর্কে জড়িয়ে পড়লো কর্ণাটক কংগ্রেস। যার একদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া এবং অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার। গতকাল যে বিতর্ক উসকে দিয়ে শিবকুমার জানিয়েছেন, যারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন তাঁদেরও মুখ্যমন্ত্রী হতে দেখেছে কর্ণাটক।
বিতর্কের সূত্রপাত গতকাল। যখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া শিবিরের কিছু বিধায়ক দাবি করেন রাজ্যের আগামী মুখ্যমন্ত্রী হবেন সিদ্দারামাইয়া। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে কর্ণাটক কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সিদ্দারামাইয়া শিবিরের এই প্রচারের বিরুদ্ধে ডি কে শিবকুমার বলেন – প্রত্যেকেরই মুখ্যমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখতে পারেন। কর্ণাটক এর আগে দেবরাজ আরস এবং রামকৃষ্ণ হেগড়েকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখেছে, যারা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে অথবা নির্বাচনে না লড়েও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।
সিদ্দারামাইয়া শিবিরের মত প্রাক্তন কেপিসিসি সভাপতি জি পরমেশ্বরণের শিবিরের পক্ষ থেকেও প্রায় একই দাবি তোলা হয়েছে। এর উত্তরে শিবকুমার জানিয়েছেন কর্ণাটক বিধানসভায় যে ২২৪ জন নির্বাচিত হবেন তাঁদের প্রত্যেকেরই মুখ্যমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখার অধিকার আছে। এর মধ্যে কোনো ভুল নেই।
যদিও এই বিতর্ক ওঠার পর সিদ্দারামাইয়া বিষয়টিকে লঘু করতে চেয়ে জানিয়েছেন, তিনি কখনোই মুখ্যমন্ত্রী হবার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। রাজ্যে নির্বাচনের এখনও ২২ মাস বাকি। আমাদের দলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা সিদ্ধান্ত নেয় হাইকম্যান্ড। আগে আমাদের নির্বাচনের মুখোমুখি হতে হবে।
এই প্রসঙ্গে শিবকুমারের ভাই বেঙ্গালুরু লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ডি কে সুরেশ জানিয়েছেন – কংগ্রেস কর্মীরা মানুষের জন্য কাজ করে। নির্বাচন হতে এখনও দু বছর দেরি। রাজ্যে করোনার কারণে এবং রাজ্য সরকারের ভুল পদক্ষেপে বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন এখন বোধহয় এই বিতর্কের সময় নয়। আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যারা ক্ষমতার জন্য কংগ্রেসে এসেছেন একমাত্র তাঁরাই এই ধরণের কথা বলতে পারেন। এরা ক্ষমতালোভী ছাড়া আর কিছুই নয়।
- with IANS input
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন