পণ নেওয়া ও পণের জন্য হেনস্তা বন্ধ করতে এবার উদ্যোগী কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। পণ প্রথাকে 'সামাজিক অভিশাপ' বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি। কোল্লামের ২২ বছরের যুবতী বিস্ময়া নিজের শ্বশুরবাড়িতে আত্মহত্যা করেন ২১ জুন। অভিযোগ, পণের জোগাড় ঠিকমত করতে না পারায় যুবতীর উপর অত্যাচার করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এই ঘটনা সামনে আসায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যজুড়ে। আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী পণ প্রথার বিরুদ্ধে গুরুতর পদক্ষেপ করবেন বলে ঘোষণা করেন। পিনারাই জানান, পণের নামে অত্যাচার ও হত্যার ঘটনা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটেই চলেছে। রাজ্যের সাংস্কৃতিক অবস্থানের সঙ্গে এমন ঘটনা কখনই মানানসই নয়। এমন ঘটনা সত্যিই খুব দুঃখজনক। যুবতীর পরিবারকে আশ্বস্ত করে বলেন- তদন্ত শুরু হয়েছে, একজন দোষীও পার পাবে না।
তিনি বলেন- প্রায় ৬ দশক হয়ে গিয়েছে, দেশে পণপ্রথা নিষিদ্ধ। কিন্তু এখনও বিভিন্ন পন্থার মাধ্যমে পণ দেওয়া এবং নেওয়া চলে। এই পণপ্রথা ও গার্হস্থ হিংসার সঙ্গে লড়তে হবে। কনে হোক বা বরের পরিবার, দুক্ষেত্রেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কনেকে দেওয়া জৌতুকের মাধ্যমে কখনই পরিবারের মর্যাদা নির্ভর করে না। যারা এরকমটা করে থাকেন, তাদের সকলের বোঝা উচিত, তারা তাদের সন্তানকে পণের মাধ্যমে বিক্রি করতে চলেছেন।
তিনি আরও বলেন- বাড়িতে পণ নিয়ে আলোচনা করলে তা বাচ্চাদের কানে যায়। সুতরাং, শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যেই লিঙ্গ সমতা ও পণবিরোধী শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রত্যেক পুরুষের পরিবারের উচিত বিয়েকে ব্যবসার ক্ষেত্র বলে মনে না করা। অভিভাবকদেরও বোঝা উচিত এই ধরনের আলোচনায় বাচ্চাদের উপর প্রভাব পড়তে পারে। ছেলেদের কখনও ভাবতে দেওয়া উচিত নয় যে, মেয়েদের পরিবার থেকে উপহার পাওয়া তাদের অধিকার। এমনকী, মহিলাদের উপর কোনওরকম মানসিক বা শারীরিক অত্যাচারও করা ছেলেদের অধিকার নয়, এটা বোঝানো উচিত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন