কোনো বিরোধিতা ছাড়াই কেরালা বিধানসভায় পাশ হলো সেই রাজ্যের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের প্রস্তাব, সমস্ত ভাষাতেই কেরালার নাম পরিবর্তন করে রাখা হোক 'কেরালাম'। মালয়ালাম ভাষাতে কেরালামই লেখা বা বলা হয়। সেটাই স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন বিজয়ন।
অনেকে সময় দেখা যায় আঞ্চলিক ভাষা এবং অফিশিয়াল ভাষায় কোনো শহর বা রাজ্যের নাম আলাদা ভাবে লেখা হয়। কেরালার ক্ষেত্রেও তাই। মালয়ালাম ভাষাতে কেরালাকে 'কেরালাম' বলা বা লেখা হয়। কিন্তু ইংরাজীতে লেখা হয় কেরালা। কেন্দ্রের কাছে নাম পরিবর্তনের জন্য বুধবার কেরালা বিধানসভায় পাশ হয় নাম পরিবর্তন প্রস্তাবটি। কার্যত সর্বসম্মতিক্রমে বিলটি পাশ হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন বলেন, 'সংবিধানের প্রথম তফসিলে আমাদের রাজ্যের নাম কেরাল বলে উল্লিখিত রয়েছে। প্রস্তাবটি পাশ করে আমরা কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাচ্ছি অতিদ্রুত সংশোধন করে কেরালার পরিবর্তে 'কেরালাম' নাম দেওয়া হোক। সংবিধানের অষ্টম তফসিল অনুযায়ী সমস্ত ভাষাতেই একই নাম রাখার আবেদন জানাচ্ছি'।
তিনি আরও বলেন, 'মালয়ালি ভাষায় আমাদের রাজ্যের নাম 'কেরালাম'। ভাষার ভিত্তিতে ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর ভাষার ভিত্তিতে রাজ্যগুলি পুনর্গঠিত করা হয়। এমনকি ১ নভেম্বর কেরালা দিবসও (কেরালাপ্পিরাভি) পালন করা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় থেকেই কেরালাম করার দাবি জানানো হচ্ছে। সংবিধানের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে নাম পরিবর্তন করার জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে'।
তবে কেরালায় বা দেশে নাম পরিবর্তন নতুন নয়। এর আগে কেরালার ত্রিবান্দ্রম-এর নাম পরিবর্তিত হয়ে তিরুবনন্তপুরম, কোচিনকে কোচি করা হয়েছিল। আবার গতবছরই এলাহাবাদ সহ মোট সাতটি শহরের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। শহরের নাম পরিবর্তনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমোদন প্রয়োজন। রাজ্যের নাম পরিবর্তনের জন্য সংসদের অনুমোদন দরকার হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেও পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করে 'বাংলা' করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু কেন্দ্র অনুমতি দেয়নি। এখন দেখার কেরালার নাম আদৌ পরিবর্তন হয় কি না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন