কলেজে অ্যাডমিশনের আগে প্রত্যেক পড়ুয়াকে পণবিরোধী চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। এমনটাই পরাশর্ম দেওয়া হয়েছে কেরল সরকারের তরফে। শুধু পড়ুয়ারাই নয়, অভিভাবকদেরও পণবিরোধী পদক্ষেপে সামিল হওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে সরকারের তরফে।
একের পর এক পণের দায়ে মৃত্যুর অভিযোগে জর্জরিত কেরল। বিষয়টি নিয়ে তুমুল বিতর্কও শুরু হয়। ঘটনায় সচেতনতা তৈরি করতে, সমাজের এই পণ নামক দানবকে রুখতে ও মহিলাদের বিরুদ্ধে হয়ে আসা এই হিংসা বন্ধ করতে স্বয়ং রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান গত ১৪ জুলাই অনশন করেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের সঙ্গেও এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এলেই তাদের একটি বন্ডে স্বাক্ষর করতে হবে। যেখানে লেখা থাকবে, 'আমরা পণ দেবো না কিংবা নেবো না।' পণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহী বলেও তিনি জানিয়েছেন। গত মাসেই রাজ্যপাল রাজ্যের মহিলাদের উদ্দেশে একটি আবেদনে করে জানান, তাঁরা যেন পণের দাবিকে কখনই প্রশ্রয় না দেন।
সম্প্রতি, কেরালার কোল্লামের ২২ বছরের যুবতী বিস্ময়া নিজের শ্বশুরবাড়িতে আত্মহত্যা করেন। অভিযোগ, পণের জোগাড় ঠিকমত করতে না পারায় যুবতীর উপর অত্যাচার করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনা সামনে আসায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় রাজ্যজুড়ে। নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১ জুলাই থেকে সিপিআই(এম)-এর উদ্যোগে শুরু হয় মহিলা সুরক্ষার জন্য বিশেষ প্রচার সপ্তাহ 'স্ত্রীপক্ষ কেরলম'। মূলত মহিলাদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তায় সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এই বিশেষ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন