বুধবার কান্নুরে সিপিআই(এম)-র ২৩তম পার্টি কংগ্রেসে একটি সেমিনারে যোগ দেওয়ার জন্য প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কে ভি থমাস বদ্ধপরিকর। তাঁর এই সিদ্ধান্তে কেরালার কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা যথেষ্ট হতাশ ও বিরক্ত। সোমবার, এই সেমিনারের প্রধান সংগঠক এবং সিপিআই(এম) কান্নুর জেলা সম্পাদক এম ভি জয়রাজন আশা প্রকাশ করেছেন যে, শশী থারুর এবং থমাস উভয়েই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
থমাস বলেছেন, তিনি এআইসিসি (AICC) সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছেন। কারণ তিনি সেমিনারে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়েছেন। তিনি কংগ্রেস সমর্থক ও নেতা-কর্মীদের বিচলিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন – “আসুন আমরা অপেক্ষা করি এবং চট করে কোনও সিদ্ধন্তে আসাটা ঠিক হবে না। এটি সিপিআই(এম)-র জাতীয় সম্মেলন নয়, সেমিনারটি জাতীয় রাজনীতির বিয়য়ক। সমস্ত জাতীয় নেতারাই এই সেমিনারে থাকবেন।”
পঁচাত্তর বছর বয়সী থমাস ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রথম এর্নাকুলাম থেকে লোকসভার সদস্য ছিলেন। তারপরে তিনি দুই মেয়াদে বিধায়ক ছিলেন এবং এ.কে. অ্যান্টনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০১-০৪) ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। তারপর ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তিনি আবারও লোকসভার সদস্য ছিলেন।
কাসারগোডের কংগ্রেস সাংসদ রাজমোহন উন্নিথান বলেন, “থমাস কেন সেমিনারে যোগ দিতে চাইছে, তা আমার চিন্তাশক্তির বাইরে। কেরালার কংগ্রেস ক্যাডারদের অনুভূতি তমাসের বোঝা উচিত এবং সেই অনুযায়ী আচরণ করা উচিত। তার ভুলে যাওয়া উচিত নয়, কংগ্রেস পার্টি তাকে অনেক কিছু দিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, আগামী ৬ থেকে ১০ এপ্রিল কেরলের কান্নুরে সিপিআইএমের ২৩ তম পার্টি কংগ্রেস আয়োজিত হবে। পার্টি কংগ্রেসের অংশ হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে সেমিনারের আয়োজন করেছে সিপিআই(এম)। জাতীয় রাজনীতি বিষয়ক সেমিনারে আলোচনার জন্য শশী থারুর এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে ভি থমাসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সিপিআই(এম)। এরপরেই শশী থারুর সহ বেশ কয়েকজন দলীয় নেতার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেরল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলে নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে এআইসিসি (AICC) নির্দেশ দিয়েছে কংগ্রেসের কেউ যেন সিপিআই(এম) আয়োজিত সিমিনারে অংশ না নেয়!
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন