সোমবার গভীর রাতে কেরালার কান্নুরে খুন হলেন এক সক্রিয় সিপিআই(এম) কর্মী। নিহত সিপিআই(এম) কর্মীর নাম কুনিয়িল হরিদাসন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৫৪। সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় একদল দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে এবং কুপিয়ে খুন করে। সিপিআই(এম)-এর পক্ষ থেকে এই হত্যার জন্য আরএসএস-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। হরিদাসনের মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ নিউ মাহে এবং থালাসেরি এলাকায় বনধের ডাক দিয়েছে সিপিআই(এম)।
কান্নুরের থালাসেরিতে সিপিআই(এম) কর্মীর হত্যার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কেরালা এলডিএফ আহ্বায়ক এ বিজয়রাঘবন। তাঁর অভিযোগ, আরএসএস এই অঞ্চলে দাঙ্গা বাধাতে চায় বলেই সিপিআই(এম) কর্মী হরিদাসনকে খুন করেছে। তিনি আরও বলেন, এই হত্যা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। পার্টি কংগ্রেসের মুখে দলীয় কর্মীরা এখন প্রত্যেকেই ব্যস্ত। সেইসময় এই অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত করতে চক্রান্ত করে এই পরিকল্পিত হত্যাকান্ড সংগঠিত করেছে আরএসএস। এই খুনের বিরুদ্ধে সকলের প্রতিবাদে শামিল হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনা। আমরা শান্তি বজায় রাখতে চাই। কিন্তু এই ঘটনা আরএসএস-এর নৃশংস চরিত্র সামনে এনে দিয়েছে।
সিপিআই(এম) কান্নুর জেলা সম্পাদক এম ভি জয়রাজন জানিয়েছেন, জেলা বিজেপির উচ্চ নেতৃত্বের মদতে আরএসএস কর্মীরা এই হত্যাকান্ড সংগঠিত করেছে।
জানা গেছে, পেশায় মৎস্যজীবী হরিদাসন সোমবার গভীর রাতে কাজ থেকে ফেরার সময়ে বাড়ির সামনেই আক্রান্ত হন। একদল দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে এবং কোপাতে থাকে। তাঁর শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে এবং শরীর থেকে একটি পা আলাদা করে দেওয়া হয়েছিলো।
হরিদাসনের মৃত্যুর খবর আসার পরেই সিপিআই(এম)-এর পক্ষ থেকে তাঁর মৃত্যুর জন্য আরএসএস-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে স্থানীয় থালাসেরি পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর লিজেশের এক প্ররোচনামূলক বক্তব্যের পরেই এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে বলেও জানা গেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন