অভিনেত্রীকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারির কয়েক ঘন্টার পরই জামিনে মুক্তি পেলেন কেরালার সিপিআইএম বিধায়ক তথা অভিনেতা এম মুকেশ। মঙ্গলবারই তিনি গ্রেফতার হন কেরালা পুলিশের হাতে। আগাম জামিন থাকার কারণে শীঘ্রই মুক্তি পেয়েছেন।
কেরালার কোল্লাম বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম বিধায়ক এম মুকেশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের জন্য সরব হয়েছে কেরালা কংগ্রেস। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের নির্দেশে গঠিত হওয়া তদন্তকারী দলের (সিট) আধিকারিকদের সামনে হাজিরা দেন অভিযুক্ত বিধায়ক। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে কেরালা পুলিশ।
গ্রেফতারির কয়েক ঘন্টা পরই জামিনে মুক্তি পেয়ে যান সিপিআইএম বিধায়ক। কারণ গ্রেফতারির আশঙ্কায় আগে থেকেই এর্নাকুলমের এক আদালত থেকে জামিন নিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ওই বিধায়কের আইনজীবী জানান, মেডিক্যাল পরীক্ষার পর সিপিআইএম বিধায়ককে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন তাঁর এক সহ-অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। তদন্তও শুরু হয় সিপিআইএম বিধায়কের বিরুদ্ধে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত মুকেশ।
হেমা কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকে বহু অভিনেতা ও পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
অন্যদিকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে আরেক মালায়লাম অভিনেতা সিদ্দিকির বিরুদ্ধে। তিনি কেরালা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আর্জি জানালেও তা খারিজ করে আদালত। তারপরই এই অভিনেতার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করে কেরালা পুলিশ। রাজ্য থেকে যাতে অন্য কোথাও তিনি পালাতে না পারেন সেই জন্যই এই পদক্ষেপ প্রশাসনের। পুলিশ আরও জানায়, এখনও পর্যন্ত তিনি কোথায় আছেন তা জানা যায়নি। তাঁর ফোন বন্ধ রয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন