কেরালা সরকারের একাধিক বিল আটকে রাখার কারণে সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। রাজ্যপালের ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
কেরালার বাম সরকার ৮টি জনকল্যাণমূলক বিল বিধানসভায় পাশ করিয়ে রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছিল অনুমোদনের জন্য। কিন্তু দু'বছর ধরে বিলগুলি আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান বলে অভিযোগ। যার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় কেরালা সরকার। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।
আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রশ্ন করে, 'দু'বছর ধরে বিল নিয়ে বসে থেকে কী করছিলেন রাজ্যপাল?' পাশাপাশি আদালত জানায়, 'রাজ্যপাল যদি বেশি কিছু বলতে না চান বা বিলগুলির যথাযথ ব্যবস্থা না নেন তাহলে আদালত নিজেদের কাজ করতে জানে। কারণ সংবিধানের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ'।
প্রধান বিচারপতিও রাজ্যপালের কাজে অবাক হয়েছেন। তিনি রাজ্য এবং রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে বলেন, 'আমরা আশা করছি রাজ্য রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তার সাথে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। উভয়পক্ষের মধ্যে যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে আমরা আইন প্রণয়ন করবো এবং সংবিধান মোতাবেক কাজ করবো। রাজ্যপাল এইভাবে বিল আটকে রাখতে পারেননা'।
কেরালা সরকারের অভিযোগ, রাজ্যপাল ৮টি বিলের মধ্যে মাত্র একটিতে অনুমোদন দিয়েছেন। বাকি সাতটি বিল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এরপর প্রধান বিচারপতি ফের প্রশ্ন করেন, 'কোনো আলোচনা ছাড়াই রাজ্যপালের কী আদৌ ক্ষমতা আছে বিল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার? অবিলম্বে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর দফতর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করুক'।
উল্লেখ্য, শুধু কেরালাই নয়। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে চরমে উঠেছে। পাঞ্জাব এবং তামিলনাড়ু সরকারও রাজ্যপালের অসহযোগিতার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন