রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিল কেরালা সরকার। বুধবার বিধানসভায় এই সংক্রান্ত একটি বিল পেশ করেছে পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বাধীন বাম সরকার।
রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে আচার্য পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়ে পূর্বেই অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্যপালের তরফে সেক্ষেত্রে কোনও রকম পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। সেই কারণেই রাজ্যের তরফে ৯ দিনব্যাপী বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে।
এদিন বিধানসভায় বিলটি পেশ করেন কেরালার আইনমন্ত্রী পি. রাজীব। বিল উপস্থাপনের সময় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা কেরালা কংগ্রেসের নেতা ভি.ডি. সতীসান বলেন, এই বিলে আচার্য পদে বসার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার কথা উল্লেখ নেই।
এই বিলের বিরোধিতা করে সতীসান জানান, "এর মানে হলো, সরকার চাইলে সিপিআই(এম) পার্টির একজন স্থানীয় সম্পাদককেও আচার্য পদে বসানো যেতে পারে। আপনারা (বামেরা) প্রায়ই বলছেন, রাজ্যপাল নাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে গৈরিকীকরণ করার চেষ্টা করছেন। অথচ এখন প্রস্তাবিত বিলের মাধ্যমে আপনি বিষয়টিকে মার্কসবাদী ডোমেইনে পরিণত করার চেষ্টা করছেন।"
কেরালা বিধানসভায় বিলটি পেশ করার পর তা বিবেচনার জন্য সাবজেক্ট কমিটির কাছে পাঠানো হবে। এরপর আগামী ১৩ ডিসেম্বর বিলটি পুনরায় ফিরে আসবে বিধানসভায়। বিরোধী বেঞ্চের ৪১ জন সদস্যের তুলনায় ট্রেজারি বেঞ্চে থাকা (স্পিকার ব্যতীত) ৯৮ জন সদস্যের সম্মতিতে অবিলম্বে বিলটি পাস হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এরপর সেটি পাঠানো হবে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের কাছে। কারণ বিধানসভার নিয়ম অনুসারে, সমস্ত বিল আইনে পরিণত হতে গেলে রাজ্যপালের স্বাক্ষর প্রয়োজন। তবে, ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে, এমন কোনও সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন না যেখানে তিনি নিজেই উদ্বিগ্ন হতে পারেন। তাই তিনি বিলটি পাঠাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন