উত্তরপ্রদেশের এক স্কুলে এক মুসলিম পড়ুয়াকে তার সহপাঠীদের দিয়েই মার খাওয়ানোর ঘটনা নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। এবার ওই পড়ুয়াকে দত্তক নিতে চেয়ে স্বেচ্ছায় এগিয়ে এলো কেরালার বাম সরকার। এই নিয়ে যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে চিঠি দিয়েছেন কেরালার শিক্ষামন্ত্রী ভি সিভানকুট্টে। পাশাপাশি, ওই ঘটনায় জড়িত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের এক স্কুলের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ৪০ সেকেন্ডের ওই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক শিক্ষিকা চেয়ারে বসে রয়েছেন। শিক্ষিকার পাশে মুসলিম ছাত্রটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাকে অন্য পড়ুয়ারা পর পর এসে মেরে যাচ্ছে। এমনকি, শিক্ষিকা এক ছাত্রকে তিরস্কারও করেন মুসলিম পড়ুয়াটিকে যথেষ্ট জোরে না মারার জন্য। এবং মুসলিম ছাত্রটি এক নাগাড়ে কেঁদে যাচ্ছে। (পিপলস রিপোর্টার এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি)। এই ঘটনা নেট মাধ্যমে ভাইরাল হতেই ওই ছাত্রকে ‘দত্তক’ নিয়ে তাকে সেরা শিক্ষা প্রদান করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে কেরালার বাম সরকার।
কেরালার শিক্ষামন্ত্রী ভি সিভানকুট্টে এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “যদি ওই ছাত্রের অভিভাবক রাজি থাকেন, তাহলে কেরালার শিক্ষামন্ত্রক ছাত্রটির যাবতীয় দায়িত্ব নিয়ে তাকে সেরা শিক্ষা প্রদান করতে চায়।” তিনি আরও জানিয়েছেন, কেরালার বাম সরকার সবসময় ধর্মনিরপেক্ষতার মূল্য রক্ষা করতে চায় এবং তার জন্য সরকার সবসময় প্রগতিশীল ভাবনাচিন্তা করে এবং কাজ করে। পাশাপাশি, সাম্প্রদায়িক হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুরের এক শিশুও কেরালার বিদ্যালয়ে সরকারী দায়িত্বে পড়াশোনা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর পাশাপাশি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে লেখা চিঠিতে সিভানকুট্টে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এইধরণের ধর্মীয় বৈষম্যের ঘটনা শিশু মনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
উল্লেখ্য, তৃপ্তি ত্যাগী নামের অভিযুক্ত এই শিক্ষিকা এই ঘটনাকে সামান্য ছোট ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর জন্য তিনি লজ্জিত নন বলেও জানিয়েছেন। তিনি মিডিয়ার সামনে জানিয়েছেন, শিশুটি হোমওয়ার্ক না করে আসার জন্য অন্য ছাত্রদের ওই পড়ুয়াকে মারতে বলেছেন তিনি। কারণ তিনি প্রতিবন্ধী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন