লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিলেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি প্রার্থী রাজীব চন্দ্রশেখর। যা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছে কেরল সিপিআইএম এবং কেরালার ক্ষমতাসীন বাম জোট এলডিএফ। রাজীব চন্দ্রশেখরের ভোট না দেওয়াকে ‘গণতন্ত্রের অবমাননা’ বলে জানিয়েছে এলডিএফ।
অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে কেরালার থিরুবনন্তপুরম কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। নিজের ভোট না দেওয়া সম্পর্কে রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, কর্ণাটকে গিয়ে ভোটদানের চেয়ে তাঁর কাছে ভোটের দিন নিজের কেন্দ্রে উপস্থিত থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে গতকাল বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বলেন, আমি ভোট দিতে যাইনি। নির্বাচনের দিন আমার কেন্দ্রে উপস্থিত থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার মনে হয়েছে।
যদিও চন্দ্রশেখরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করতে ছাড়েনি সিপিআইএম ও সিপিআই। তাদের মতে ভোটদান শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক অধিকারই নয়, ভোট দেওয়া একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের কর্তব্যও।
সিপিআইএম নেতা ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ভি শিবনকুট্টি এই প্রসঙ্গে বলেন, চন্দ্রশেখর এমনই একজন ব্যক্তি, যিনি ইচ্ছে করলে হেলিকপ্টারে করে তাঁর ভোটদান কেন্দ্রে যেতে পারতেন এবং ভোট দিয়ে নিজের কেন্দ্রে ফিরে আসতে পারতেন। তিনি আরও বলেন, চন্দ্রশেখরের ভোট না দেবার সিদ্ধান্ত আসলে গণতন্ত্রের অবমাননা।
শিবনকুট্টির সুরেই বিজেপি নেতার সমালোচনা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী জি আর অনিল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চন্দ্রশেখরের ভোটদান থেকে দূরে আসলে থিরুবনন্তপুরমের ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করা। এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে বিজেপি নেতার গণতন্ত্রের ওপর কোনও আস্থা নেই।
উল্লেখ্য, গতকাল ২৬ এপ্রিল কেরালার ২০টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। যদিও এবার কেরালায় ভোটদানের হার অনেকটাই কমেছে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে যেখানে ভোট পড়েছিল ৭৭.৮৪ শতাংশ সেখানে এবার কেরালায় ভোট পড়েছে ৭০.২২ শতাংশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন