যত সময় যাচ্ছে কেরালায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টার অবতরণ করানো যাবে না। তাই আজ ওয়াইনাডে যাচ্ছেন না রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
মঙ্গলবার কেরালার ওয়াইনাডে নামা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে মৃতের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। আহত ২০০ জনেরও বেশি। নিখোঁজ প্রায় ১০০ জন। প্রশাসন সূত্রে খবর, ওয়াইনাডে ৪৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। যেখানে ৩ হাজারের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, শেষ ৪৮ ঘন্টায় ৫৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আরও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।
গতকালই ভূমিধসের ঘটনায় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। জরুরি সহায়তার জন্য হেল্পলাইন নম্বর 9656938689 এবং 8086010833 চালু করেছে রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে আজ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাঁরা যেতে পারছেন না। নিজের এক্স মাধ্যমে দেশের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী জানান, "প্রিয়াঙ্কা এবং আমার ওয়াইনাডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সাথে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু অবিরাম বর্ষণ ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে প্রশাসনের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে আমরা অবতরণ করতে পারব না"।
তিনি আরও জানান, "আমি ওয়াইনাডের জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করব। আমরা পুরো পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ওয়াইনাডের মানুষের যা যা প্রয়োজন সবকিছু আমরা সরবরাহ করব"।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওয়াইনাড এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারি বৃষ্টি হচ্ছে কেরালার ওয়াইনাডে। মঙ্গলবার ভোরে আচমকাই ধস নামে এবং গ্রামগুলিতে জল ঢুকতে শুরু করে। জলের স্রোতে ভেসে যায় একাধিক বাড়ি গাড়ি। এই ধসের কারণে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয় মুন্ডক্কাই, চুরমালা, আত্তামালা এবং নুলপুঝা গ্রামগুলি। উদ্ধারকাজে নামানো হয় ভারতীয় সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা টিম। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন