কেরলে এক যুব সিপিআই(এম) নেতা খুনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। পাঠানামথিট্টা জেলার পেরিঙ্গারাতে গতকাল ওই যুব সিপিআই(এম) নেতা খুন হন। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে পুলিশ চার জনকে আটক করেছে। সিপিআই(এম)-এর পক্ষ থেকে এই ঘটনায় আরএসএস-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। নিহত সন্দীপ সিপিআই(এম)-এর স্থানীয় কমিটির সম্পাদক এবং প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন।
পুলিশের হাতে ধৃত জিষ্ণুকে আরএসএস-এর সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে সিপিআই(এম) কেরালা জানিয়েছে, নিহত পি বি সন্দীপ গত বিধানসভা নির্বাচনে পেরিঙ্গারা আসনে দলের জয়ের পেছনে বড়ো ভূমিকা নিয়েছিলো। দীর্ঘ ২৭ বছর পরে এই আসনে জয়লাভ করে বাম প্রার্থী। নির্বাচনের আগে থেকেই এই অঞ্চলে বহু মানুষ সিপিআই(এম)-এ যোগদান করেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ৩২ বছর বয়সী সিপিআই(এম) কর্মী পি বি সন্দীপকে নিজের বাড়ির কাছেই খুন করে একদল দুষ্কৃতী। ঘটনার সময় পেরিঙ্গারাতে বাড়ির কাছেই একটি ব্রিজের ওপর বসেছিলেন সন্দীপ। পাঁচ জনের এক দুষ্কৃতী দল বাইকে চেপে ঘটনাস্থলে আসে এবং সন্দীপকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সেখানেই ফেলে রেখে চলে যায়।
সন্দীপের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সন্দীপকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
সিপিআই(এম) কেরালা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে এই ঘটনায় আরএসএস-এর যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বক্তব্য অনুসারে আরএসএস দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে অশান্তির আবহাওয়া তৈরির চেষ্টা করছে। যদিও আরএসএস সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শুক্রবার সন্দীপের হত্যার প্রতিবাদে পেরিঙ্গারাতে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে সিপিআই(এম)-এর স্থানীয় কমিটি।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। চারজনের মধ্যে আছে ২৩ বছর বয়সী জিষ্ণু এবং প্রমোদ, ২৪ বছর এবং ২২ বছর বয়সী নন্দু এবং ফইজল। পঞ্চম ব্যক্তিকে এখনও ধরা যায়নি।
যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ধৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে ব্যক্তিগত কারণে আক্রোশবশত তারা সন্দীপকে খুন করেছেন।
- with Agency Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন