মহামারী করোনার সময় পিপিই কিট (PPE kits) কেনা নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, শনিবার তা খারিজ করে দিয়েছেন কেরালার প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা (Former Kerala Health Minister K.K Shailaja)। তিনি দাবি দাবি করেছেন, মানুষের জীবন বাঁচাতে দ্রুত কাজ করতে হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়েই সবকিছু কেনা হয়েছিল।
পিপিই কিট কেনা নিয়ে তদন্তের জন্য লোক আয়ুক্ত (Lok Ayukta) শৈলজাকে তলব করার পরে এই প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে।
বর্তমানে বিদেশ যাত্রায় রয়েছেন শৈলজা। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য কর্মীদের জীবনের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল। বিষয়টি বিজয়নকে অবহিত করা হয়েছিল। তিনি সম্মতি দিয়েছিলেন, তার পরেই এটি করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, লোক আয়ুক্ত বুঝতে পারবে যে জীবন বাঁচানো সময়ের প্রয়োজনীয়তা।’
কংগ্রেস নেত্রী বীণা নায়ার। ২০২১ সালে রাজ্যের রাজধানী থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালে করোনার সময় পিপিই কিট কেনা নিয়ে দুর্নীতির তদন্তের দাবিতে লোক আয়ুক্তের দারস্থ হয়েছেন বীণা নায়ার।
অভিযোগ, PPE কিটের দাম হওয়া উচিত ছিল প্রায় ৫০০ টাকা, কিন্তু তা কেনা হয়েছে ১৫০০ টাকায়। এই অভিযোগের পর, তদন্তের জন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর শৈলজা সহ ১২ জনকে হাজিরার নোটিশ দিয়েছে লোক আয়ুক্ত।
এদিকে, লোক আয়ুক্ত ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী কে টি জলিল (former Minister of Higher Education K T Jaleel)। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার ক্ষেত্রে, তাঁকে সময় দেওয়া হয়নি বলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছেন তিনি।
জলিল বলেন, ‘এটি এখন জানা গেছে যে, লোক আয়ুক্ত একটি নোটিশ দিতে এবং একটি প্রাথমিক তদন্ত পরিচালনা করতে জানে, যা আমি কখনই পাইনি।’
২০২১ সালে, মন্ত্রী হিসাবে স্বজন-পোষণের অভিযোগে তাঁকে (জলিলকে) পদত্যাগ করতে হয়েছিল। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল লোক আয়ুক্ত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন