কেরল বিজেপির অন্দরে ফাটল আরও স্পষ্ট। দলের দায়িত্বে থাকা রাজ্য বিজেপির প্রধানের অপসারণ নিয়ে এবার সরব হয়েছে কেরলের আরএসএস নেতৃত্বও। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যদিও রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রনকে আগেই সতর্ক করেছিল। জানা গিয়েছে, বর্তমানে সুরেন্দ্রন দিল্লিতেই রয়েছেন।
শনিবার রাজ্য বিজেপির তরফে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে সুরেন্দ্রনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সুরেন্দ্রন ঘনিষ্ঠ কেরল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জর্জ কুরিয়ান জানিয়েছেন, দিল্লিতে থাকায় এই বৈঠকে হাজির ছিলেন না সুরেন্দ্রন। এই ভার্চুয়াল বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বুথ ও কেন্দ্র ভিত্তিতে আগামী ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন প্রতিবাদ সভা করা হবে।
কেরল বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, কোদাকারা হাইওয়েতে যে ডাকাতির দোষ বিজেপির উপর চাপানো হচ্ছে, তা আসলে কেরল সিপিআই(এম)-এর চাল রাজ্য বিজেপিকে হেনস্তা করার। আর এর ভিত্তিতেই দলের অনেক নেতাই চাইছেন সুরেন্দ্রনকে রাজ্য বিজেপির প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। যদিও কেন্দ্রীয় বিজেপি সূত্রে খবর, এই বিতর্ক থামাতে দোষ স্বীকার করলে দলের বিরুদ্ধে কথা বলা বিরোধীদের আরও প্ররোচিত করা হবে। এই বিষয়ে সুরেন্দ্রনের কাছ থেকে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, আরএসএস নেতৃত্ব রাজ্য প্রথমে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের অপরিনত রাজনৈতিক বোধের তীব্র কটাক্ষ করে। কিন্তু পরে সঙ্ঘ নেতারা বুঝতে পারেন, আসলে রাজ্য বিজেপি নেতাদের হাইওয়ে ডাকাতি মামলায় সুরেন্দ্রন ও অন্যান্য অভিযুক্তদের পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্যই এমনটা করা হয়েছে। রাজ্য বিজেপির এক নেতা বলেন, আগামি ৩০ জুন আরএসএস-এর বার্ষিক বৈঠক রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন