হাইওয়েতে ডাকাতির মামলায় বিজেপি নেতাকে সমন পাঠাল কেরল পুলিশ। অভিযুক্ত নেতা কেরলের বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দ্রনের বিরুদ্ধে গত বিধানসভা ভোটের সময় হাইওয়েতে সাড়ে তিন কোটি টাকা ডাকাতির অভিযোগ আছে। আগামী মঙ্গলবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এই ঘটনায় আগেই জেরা করা হয়েছিল ত্রিশূরের একাধিক বিজেপি নেতা, রাজ্য বিজেপির সম্পাদক (সংগঠন) এম গণেশন, কেরল বিজেপি সভাপতির অফিসের আধিকারিক দিপীন ও তাঁর গাড়ির চালক লিবেশকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৩ জুলাই।
গত ৭ এপ্রিল কেরলের ত্রিশূর থেকে এর্নাকুলাম যাচ্ছিলেন এস সামসির নামে এক ব্যক্তি। তাঁর কাছে ছিল সম্পত্তি কেনাবেচার জন্য টাকা। তাঁর অভিযোগ, রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তাঁকে মারধর করে ২৫ লক্ষ টাকা ডাকাতি হয়েছে। কিন্তু তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, লুট হওয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। পরে এক আরএসএস কর্মী একে ধর্মরাজনের নামও সামনে আসে। তখনই জানা যায় যে, নির্বাচনের কাজের জন্যই ওই টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
এরপর পুলিশ এই ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেফতার করে। পরে ত্রিশূরের আদালতের দ্বারস্থ হন আরএসএস কর্মী একে ধর্মরাজন। লুট হওয়া টাকা তাঁকে ফেরত দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। পাল্টা হলফনামায় আদালতে পুলিশ জানান, ওই অর্থ বিজেপির নির্বাচনী কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রাজ্য বিজেপির নেতারা গোপন রেখেছিলেন বিষয়টি।
প্রসঙ্গত, কেরল বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, হাইওয়ে ডাকাতির দোষ বিজেপির উপর চাপানো হচ্ছে, তা আসলে কেরল সিপিআই(এম)-এর চাল রাজ্য বিজেপিকে হেনস্তা করার। আর এর ভিত্তিতেই দলের অনেক নেতাই চাইছেন সুরেন্দ্রনকে রাজ্য বিজেপির প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন