কংগ্রেস নেতা কে.ভি. থমাস দলের নেতৃত্বের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কেরালার ক্ষমতাসীন সিপিআই(এম) আয়োজিত সেমিনারে যোগ দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি কেরালার কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, বেশ কয়েক বছর ধরে বর্তমান রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁকে দূরে সরিয়ে রেখেছে।
থমাস বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি সিপিআই(এম)-র ২৩তম পার্টি কংগ্রেসের সেমিনারে যোগ দিচ্ছেন। কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী তাঁকে উপস্থিত না হতে পরামর্শ দিলেও তিনি যাবেন। আর এক কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি অবশ্য পার্টির নির্দেশ মেনে সিপিআই(এম)-র সেমিনারে যোগ দিচ্ছেন না।
থমাস বলেন - “আমি একটি মৎস্যজীবী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি এবং ছেলাবেলা থেকেইখুব নির্যাতিত হয়েছি। আমি কোনও অন্যায় করিনি, যেটা কংগ্রেস করেছে আমার সঙ্গে। আমি কেবল সেমিনারে অংশ নিচ্ছি এবং পার্টি থেকে বের হচ্ছি না। কারণ এটি আমার পরিবার এবং সব সময় আমি এখানেই ছিলাম। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমি কংগ্রেসেরই থাকব।”
৭৫ বছর বয়সী থমাস আরও বলেন যে, এটি তাঁর “জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত”। আক্ষেপ করে বলেন – “২০১৮ সালের পরে, আমি রাহুল গান্ধীর সাথে দেখা করতে পারিনি।” এদিকে, সিপিআই(এম)-র ২৩তম পার্টি কংগ্রেসের প্রধান সংগঠক এম ভি জয়রাজন থমাসের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। যদি প্রয়োজন হয় তবে থমাসকে সমস্তরকম সমর্থন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সিপিআই(এম) পলিটব্যুরোর সদস্য এম.এ বেবি একধাপ এগিয়ে টমাসের সিদ্ধান্তকে “নেহরুভীয় দৃষ্টিভঙ্গি” বলে বর্ণনা করেছেন। এমনও জল্পনা রয়েছে যে, কংগ্রেস থেকে যদি থমাসকে বহিষ্কার করা হয়, তাহলে তাঁকে ‘প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান’ করা হবে, যে পদটিতে অভিজ্ঞ সিপিআই(এম) নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভি.এস. অচ্যুতানন্দন ছিলেন।
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন