দুই রাজনৈতিক দলের নেতার মৃত্যুর পর কেরালায় আগামী তিন দিনের জন্য রাজনৈতিক মিছিল এবং জনবহুল এলাকায় মাইকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করলো কেরালা পুলিশ। গত পরশু মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে কেরালায় দুই রাজনৈতিক দলের দুই নেতার মৃত্যু হয়। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
রাজ্য পুলিশের প্রধান অনিল কান্ত এদিন জানান, রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর আধিকারিকদের চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়েছে এবং বিস্তারিত তদন্তের পর মাইক ও রাজনৈতিক মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে ইসলামী সংগঠন এসডিপিআই-এর নেতা কে এস খান খুন হন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি-র ওবিসি মোর্চার রাজ্য সম্পাদক রাজিথ শ্রীনিবাসন খুন হয়ে যান। পরপর দুই খুনের ঘটনায় এসডিপিআই এবং আরএসএস/বিজেপি পরস্পরকে দোষারোপ শুরু করে। পরিস্থিতির অবনতি হয়।
গতকাল কে এস খানের শেষকৃত্য সম্পন্ন হলেও রাজিথ শ্রীনিবাসনের শেষকৃত্য আজ সম্পন্ন হবে।
সোমবার ডিজিপি বিজয় সাকরে জানিয়েছেন, দুই খুনের ঘটনায় পুলিশি তদন্ত চলছে। আলাপুঝায় পৌঁছে তিনি জানান শ্রীনিবাসনের খুলে এখনও পর্যন্ত ১২ জন যুক্ত থাকার কথা নিশ্চিত করা গেছে। তদন্ত চলছে এবং এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এছাড়াও কে এস খানের খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে দুই আরএসএস কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল এই ঘটনায় কোনো চক্রান্ত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে। রাজ্যের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় যুক্ত কাউকেই ছাড়া হবেনা। যদি তিনি কোনো উচ্চপদে থাকেন তাহলেও তাঁকে ছাড়া হবেনা।
ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের প্রধান জানিয়েছেন সমস্ত পুলিশ কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং যারা ছুটিতে ছিলেন তাঁদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আলাপুঝা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন