কেরালায় রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাতে চরমে। আচার্য পদে রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করতে নয়া বিল আনতে চলেছে পিনারাই বিজয়ন সরকার। আগামী বুধবার, বিধানসভায় এই বিল পেশ হবে।
সোমবার থেকে কেরালার বিধানসভায় ১০ দিনের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে। এই অধিবেশনে ১২টি সংশোধনী বিল উঠবে। তারমধ্যে একটি হল আচার্য পদে রাজ্যপালের ক্ষমতা সংক্রান্ত।
কেরালার রাজনীতিতে রাজ্যপাল আরিফ খানকে নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। আর তাতে আপত্তি করেছেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। এমনকি, আচার্য পর থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি এখানেই থেমে নেই, সম্প্রতি কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ নিয়েও বিবাদে জড়িয়েছেন কেরালার রাজ্যপাল। কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপীনাথ রবীন্দ্রনকে ‘দুষ্কৃতী’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
এই বিবাদের সূত্রপাত মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ব্যক্তিগত সচিব কে.কে রাগেশের স্ত্রী প্রিয়া ভার্গিসকে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ ঘিরে। রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, প্রিয়া বাম সরকারের ঘনিষ্ঠ। স্বজনপোষণ করতে, তাঁকে নিয়োগ দিতে চাই সরকার ও উপাচার্য গোপীনাথ।
তবে, রাজ্যপালের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘এক্ষেত্রে রাজনীতির কোন বিষয় নেই। পারফরম্যান্সের দিক থেকে যার অবদান সেরা, তাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে কেরলের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী জানান, ‘বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি তলানিতে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমরা সার্চ কমিটিতে আরো দুজনের অন্তর্ভুক্তি ঘটাতে চাইছি, যাতে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সঠিকভাবে চলে।’
সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে যে সার্চ কমিটির ওপর প্রধান দায়িত্ব দেওয়া হয়, সংশোধনী বিল অনুযায়ী সেই সার্চ কমিটিতে তিনের পরিবর্তে পাঁচ জনের অন্তর্ভুক্তি ঘটবে। এক্ষেত্রে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এই সংশোধন আনা হতে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন