বিয়েতে পণ চাওয়া হলে মহিলাদের সেই বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা এবং প্রতিবাদ করা উচিত। তাহলেই একমাত্র পণপ্রথা বন্ধ করা যাবে। বৃহস্পতিবার কোচিতে একথা জানিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন বিজয়ন আরও বলেন, যদি কেউ পণ চায়, তাহলে মহিলাদের উচিত দৃঢ়ভাবে তা প্রত্যাখ্যান করা। এর জন্য সমাজ এবং পরিবারের উচিত ওই মহিলার পাশে দাঁড়ানো।
মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন আরও বলেন, এইধরনের ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। সরকারও এই বিষয়ে গুরুতর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে।
বিজয়ন বলেন, “মহিলার পরিবার এবং বাবা মায়েরও একসঙ্গে পণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো উচিত। একমাত্র মহিলারাই পারেন এই প্রবণতা বন্ধ করতে। যুবতী এবং মহিলাদের এই বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করা উচিত এবং এই বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন। পণের দাবি করা ও গ্রহণ করার বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন। আমরাও এই ক্ষেত্রে আইনগত পদক্ষেপের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কোচিতে সাহানা নামক ২৬ বছর বয়সী এক স্নাতকোত্তর চিকিৎসক আত্মহত্যা করেন। জানা গেছে, সম্প্রতি এক চিকিৎসকের সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয়েছিল সাহানার। যদিও ওই পরিবারের বিরাট অঙ্কের পণের দাবি মেটাতে অক্ষম ছিল সাহানার পরিবার। এরপরেই আত্মঘাতী হন সাহানা।
সাহানার পরিবারের বক্তব্য এবং আত্মঘাতী সাহানার সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তাঁরই এক সহকর্মী চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই চিকিৎসকের সঙ্গে বেশ কিছুদিন সম্পর্কে ছিলেন সাহানা। পরে বিয়ের কথাবার্তা হলে ছেলেটির পক্ষ থেকে ১৫ একর জমি, ১৫০ ভরি সোনা এবং একটি দামী গাড়ির দাবি করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন