কেরালার ওয়াইনাডে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সিপিআইএম বিধায়করা। নিজেদের এক মাসের বেতন-ভাতা মুখ্যমন্ত্রী বিপর্যয় ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা।
ভূমিধসের ঘটনায় এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। প্রাণ হারিয়েছেন তিন শতাধিক মানুষ। সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বাম শাসিত কেরালা বিধানসভার ৬২ জন সিপিআইএম বিধায়ক তাঁদের সম্পূর্ণ বেতন অর্থাৎ ৫০ হাজার টাকা ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মোট ৩১ লক্ষ টাকা জমা পড়বে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে।মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ টাকা এবং তাঁর স্ত্রী টি কে কমলা ৩৩ হাজার টাকা দিয়েছেন তহবিলে।
এর আগে সিপিআইএম কেরালার রাজ্য সম্পাদক এম ভি গোবিন্দ দলের তরফ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা মুখ্যমন্ত্রী বিপর্যয় ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, দলের ত্রিপুরা এবং তামিলনাড়ু শাখা ১০ লক্ষ করে মোট ২০ লক্ষ টাকা ত্রাণ তহবিলে জমা করেছে।
দক্ষিণ ভারতের বহু তারকাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২৫ লক্ষ টাকা দান করেছেন অল্লু অর্জুন। মালয়ালম অভিনেতা মাম্মুট্টি এবং তাঁর ছেলে দুলকের সলমন একত্রে ৩৫ লক্ষ টাকা দান করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। জ্যোতিকা, কার্থি ও সূর্য একত্রে ৫০ লক্ষ টাকা দান করেছেন। তামিল অভিনেতা বিক্রম বিপর্যস্তদের জন্য ২০ লক্ষ টাকা দান করেছেন।
প্রসঙ্গত, কেরালার ওয়াইনাডে ভূমিধসে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে আচমকাই ধস নামে এবং গ্রামগুলিতে জল ঢুকতে শুরু করে। জলের স্রোতে ভেসে যায় একাধিক বাড়ি গাড়ি। এই ধসের কারণে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয় মুন্ডক্কাই, চুরমালা, আত্তামালা এবং নুলপুঝা গ্রামগুলি। অসমর্থিত সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ৩৫০-র বেশি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এর ১৬০০ কর্মী উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তবে লাগাতার বৃষ্টির ফলে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। রাজ্যের ১০০-র বেশি ত্রাণ শিবিরে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন