সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ১৪ জুলাই থেকে খোরি গ্রামে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫০০ বস্তি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বাকি উচ্ছেদের কাজ জোরকদমে চলছে। বুধবার বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের মধ্যেই মাথার উপর ছাদ হারিয়ে উচ্ছেদ হওয়া বিধ্বস্ত পরিবারগুলোর স্থান হয়েছে এখন গাছের তলা। সবুজ বাঁচানোর তাগিদে শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পর স্বাভাবিকভাবেই পুনর্বাসনের দাবি উঠেছে।
যদিও, আগে উচ্ছেদ অভিযান সম্পূর্ণ হবে, পরে পুরো বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে বলেও আদালতের তরফে জানানো হয়েছে। উচ্ছেদের দ্বিতীয় দিন যে পরিবারগুলোর মাথা থেকে ছাদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে, বাচ্চাদের নিয়ে তাদের ঠাঁই হয়েছে খোলা রাস্তায়। উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার জন্য প্রশাসনের হাতে পায়ে পড়েও কোনও লাভ হয়নি। এমনকী, আবেদন করে পুলিশের লাঠিচার্জে জখম হয়েছেন অনেক বাসিন্দাই।
এই উচ্ছেদ অভিযানের খবর করতে যাওয়া সাংবাদিকদের ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকার জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী, উচ্ছেদ অভিযানের কোনও প্রক্রিয়া রেকর্ড করা থেকেও বিরত রাখা হয় সাংবাদিকদের।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, আদালত, রাজ্য সরকার এবং পুলিশ, কেউই ন্যূনতম সহানুভূতি পর্যন্ত দেখাচ্ছেন না। আদালতের রায় ঘোষণার পর থেকেই পাশবিক অত্যাচার চালানো হচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের ওপর। জেসিবি মেশিনের সামনে পড়ে অনেকেই জখম হয়েছেন। হরিয়ানা সরকার বাসিন্দাদের আন্দোলন দমানোর সবরকম চেষ্টা প্রথম থেকেই চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ। সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার কারণে বহু বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার পর্যন্ত করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন