আগামী ১১ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বাড়লো রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স-এর আটক কনস্টেবল চেতন সিং-এর। গত ৩১ জুলাই সকালে পালঘরে জয়পুর মুম্বাই সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে গুলি চালনার ঘটনায় তিনি মূল অভিযুক্ত। ওইদিন তিনি চলন্ত ট্রেনে তাঁর সুপারভাইজার সহ চারজনকে হত্যা করেন।
প্রাথমিকভাবে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স-এর পক্ষ থেকে এই ঘটনায় কোনও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের কথা অস্বীকার করা হলেও পরবর্তীতে সেই বিষয়ক ধারা যুক্ত করা হয়েছে। সরকারি রেলওয়ে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে।
মামলার তদন্তকারী সরকারী রেলওয়ে পুলিশ সোমবার তার প্রাথমিক রিমান্ড শেষ হওয়ার পরে তাকে আদালতে হাজির করে এবং সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করতে, আরও সাক্ষীদের শনাক্ত করতে, ইত্যাদির জন্য অতিরিক্ত সাত দিনের রিমান্ড চায়। যদিও ম্যাজিস্ট্রেট ১১ আগস্ট পর্যন্ত হেফাজত বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছেন।
৩১ জুলাই সকালে পালঘরে জয়পুর-মুম্বাই সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে গুলিচালনার ঘটনা ঘটার পর ট্রেনটি মুম্বাইয়ের দিকে এগিয়ে যায় এবং চেতন সিং-কে থানের মিরা রোড স্টেশন থেকে আটক করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের পরে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে তার কথিত ঘৃণাসূচক-মন্তব্যের উপর তদন্ত এবং কিছু ভিডিও দেখার পরে, গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (GRP) এই মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩(এ) ধারা (ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার) যুক্ত করেছে। এছাড়াও তাঁর এফআইআরে ভারতীয় দন্ডবিধির ধারা ৩০২ (খুন) এবং অস্ত্র আইনের ধারা ৩, ২৫ এবং ২৭ এবং রেলওয়ে আইন যুক্ত করা হয়েছে।
এই ঘটনায়, চেতন সিং তাঁর সুপারভাইজার RPF এএসআই টিকারাম মীনা এবং ওই ট্রেনের তিন যাত্রীকে গুলি করে। ওই ঘটনায় নিহত যাত্রীরা হলেন হায়দরাবাদের (তেলেঙ্গানা) সৈয়দ সাইফুল্লাহ, মধুবনির (বিহার) আসগর এ. শেখ (৪৮), এবং নালাসোপাড়ার (মহারাষ্ট্র, পালঘর) আব্দুল কাদের এম ভানপুরাওয়ালা (৬২)।
অভিযুক্ত আরপিএফ চেতন সিং তাঁর অস্ত্র সহ মিরা রোড স্টেশনের কাছে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে ওইদিন সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে ১ আগস্ট পর্যন্ত এক সপ্তাহের পুলিশ রিমান্ডে পাঠান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন