নাগরিকদের স্থায়ী চাকরি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি প্রদানে একেবারেই ব্যর্থ দেশের সমস্ত বড় শহর। সবথেকে খারাপ অবস্থা কলকাতার। দেশের অর্থনৈতিক থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক নীতি আয়োগের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য।
মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (SDG) আরবান ইনডেক্স প্রকাশ করেছে নীতি আয়োগ। দেশের ৫৬টি বড় শহর নিয়ে এই প্রথম এরকম সমীক্ষা করেছে নীতি আয়োগ। স্বাস্থ্য, ক্ষুধা, শিক্ষা, দারিদ্র্য, লিঙ্গ বৈষম্য, শিল্প, পরিকাঠামো, কাজৈর সুযোগ, ক্রয় ক্ষমতা সহ ১৫টি প্যারামিটারের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী একমাত্র বেঙ্গালুরু ছাড়া দেশের আর সমস্ত শহরে নাগরিকদের চাকরির সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অবস্থা খুবই খারাপ। রিপোর্ট অনুযায়ী সামগ্রিকভাবে শীর্ষে রয়েছে হিমাচলপ্রদেশের রাজধানীর সিমলা।
তবে সমস্ত মাপকাঠিতেই কলকাতার অবস্থা তথৈবচ। চাকরির সুযোগ তৈরি করা এবং অর্থনৈতিক উন্নতির মাপকাঠিতে ব্যাঙ্গালুরুর স্কোর যেখানে ১০০-র মধ্যে ৭৯, সেখানে কলকাতার স্কোর মাত্র তিন। ৫৬টি শহরের মধ্যে সবথেকে পিছিয়ে কলকাতা। এই মাপকাঠিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ছত্তিশগড়ের রায়পুর(৬৪)। এরপর রয়েছে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন (৫৯), গোয়ার পানাজি (৫৯)। মাত্র ১৩টি শহর ৫০-এর উপরে স্কোর করেছে। জাতীয় রাজধানী দিল্লির স্কোর ৪৫। আর্থিক রাজধানী মুম্বাইয়ের স্কোর ১৭। চেন্নাইয়ের স্কোর ৩৬ এবং হায়দারাবাদের স্কোর ৪৮।
অন্যান্য মাপকাঠির মধ্যে ক্ষুধায় কলকাতার স্কোর ২৭, দারিদ্র্যে ৪০, শিল্প-উদভাবন-পরিকাঠামোতে ৪৮, ক্রয় ক্ষমতায় ৬৪। ১৫টি প্যারামিটারের মিলিয়ে সার্বিকভাবে শেষের ১০টি শহরের মধ্যে একটি কলকাতা।
১৫টি প্যারামিটারেই ভালো স্কোর নিয়ে সার্বিক ভাবে এই ইনডেক্সে প্রথম স্থানে রয়েছে সিমলা (৭৫.৫)। এরপর রয়েছে যথাক্রমে কোয়েম্বাটোর (৭৩.২৯), তিরুঅনন্তপুরম (৭২.৩৬), চন্ডীগড় (৭২.৩৬), কোচি (৭২.২৯)। সবথেকে শেষে রয়েছে ধানবাদ (৫২) এবং মেরুট (৫৫)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন