একই দিনে, মাত্র পাঁচ ঘণ্টা ব্যবধানে কোটায় আত্মঘাতী হল আরও দুই ছাত্র। জানা গেছে, এই দুই ছাত্রই পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছিলেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে এএসপি ভগত সিং হিঙগদ জানিয়েছেন, রবিবার দুপুর ৩ টে নাগাদ ১৬ বছর বয়সী আবিস্কার শম্ভাজী কাসলে কোটার এক কোচিং ইন্সটিটিউটের ৬ তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মঘাতী হন। তিনি মহারাষ্ট্রের লাতুরের বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ সূত্র অনুসারে আত্মঘাতী ছাত্র গত তিন বছর ধরে শহরের তালওয়ান্দি এলাকার এক হোস্টেলে থাকতেন এবং তিনি ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (এনইইটি)-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ওইদিনই তিনি টেস্ট দেবার জন্য কোচিং সেন্টারে এসেছিলেন।
গতকালের দ্বিতীয় ঘটনায় বিহারের ১৮ বছর বয়সী আদর্শকে তাঁর নিজের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি কোটার কুনহাদি এলাকায় গত চার মাস ধরে তাঁর ভার এবং বোনের সঙ্গে ছিলেন। এঁরা সকলেই এনইইটি-র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এএসপি জানিয়েছেন, এদিন টেস্ট দেবার পর আদর্শ বাড়ি ফেরেন এবং সরাসরি নিজের ঘরে ঢুকে যান। সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ তাঁর বোন তাঁকে খাবার জন্য ডাকতে এলে কোনও সাড়া না পেয়ে অন্যদের ডাকে। সবাই মিলে দরজা খোলার পর আদর্শকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্র অনুসারে, আদর্শ ক্রমাগত পরীক্ষায় খারাপ ফল করছিলেন। এদিনের পরীক্ষায় ৭০০ নম্বরের মধ্যে তিনি ২৫০ পেয়েছিলেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘরে তল্লাশি চালিয়েও কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ১২ আগস্ট কোটার কালেক্টর ও পি বুঙ্কার সমস্ত কোচিং সেন্টারের উদ্দেশ্যে এক নির্দেশিকায় জানিয়েছিলেন রবিবার কোনও পরীক্ষা নেওয়া যাবেনা। যদিও সেই নির্দেশ অমান্য করে গতকাল পরীক্ষা নেওয়া হয়।
গতকালের ঘটনার পর ও পি বুঙ্কার আবারও এক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছেন, আগামী দু’মাস কোনও কোচিং সেন্টার রবিবার কোনও পরীক্ষা নিতে পারবে না।
রবিবারের এই দুই মৃত্যু নিয়ে শুধু আগস্ট মাসেই কোটায় ৬ ছাত্র আত্মঘাতী হল। এঁরা হলেন বিহারের বাল্মীকি প্রসাদ জাঙ্গিদ (১৮), মতিহারির ভারগব মিশ্র (১৭), উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের মণীশ প্রজাপতি (১৭) এবং রামপুরের মনজোত ছাবরা (১৮)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন