মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা করেছেন নির্মলা সীতারমন। বাজেট পেশের পর থেকেই মোদী সরকারকে একযোগে আক্রমণ করেছেন 'ইন্ডিয়া' মঞ্চের নেতারা। সকলেরই এক অভিযোগ, কুর্সি বাঁচানোর জন্য এই বাজেট তৈরি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাজেটে বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বন্যা ও খরা নিয়ন্ত্রণে বিহারের জন্য ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা থেকে শুরু করে ৪টি হাইওয়ে ও ব্রিজ নির্মাণের জন্য ২৬ হাজার কোটি টাকা এবং ২১ হাজার কোটির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঘোষণা করা হয়। অন্ধ্রপ্রদেশের গ্রামোন্নয়নের জন্য ২.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী অমরাবতীর উন্নয়নের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধী শিবির।
রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডেলে কটাক্ষ করে লেখেন, "কুর্শি বাঁচাও বাজেট। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য এই বাজেট নয়। অন্য রাজ্যকে বঞ্চিত করে শরিক বাঁচানোর জন্য বাজেট হয়েছে। বাজেট হয়েছে AA (মনে করা হচ্ছে আম্বানি, আদানিকে উল্লেখ করেছেন)-দের সুবিধার জন্য"।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি বলেন, "জনবিরোধী এবং গরিব বিরোধী বাজেট। এমনকি কলকাতা-অমৃতসর করিডর আমি ২০০৯ সালে ঘোষণা করেছিলাম। সেই একই জিনিস আবার বলা হল। আর কবে হবে এই প্রকল্প? আসলে পুরনো বোতলে নতুন রঙিন জল মেশানো হয়েছে"।
তিনি আরও বলেন, "১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে আমরা পাই। কিন্তু আমাদের এক টাকাও দেয়া হয়নি। আমাদের টাকা আমাদেরকে দেয়নি। তাহলে জিএসটি করার কী প্রয়োজন ছিল? একটা পার্টি শুধু নিজেদের স্বার্থে এই বাজেট করেছে। বাংলাকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত করা হয়েছে। বাংলা কারুর দয়া চায় না। কিন্তু বাংলার সম্মান যদি বিঘ্নিত হয় বাংলার মানুষ কিন্তু কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না"।
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, "সরকার বাঁচানোর জন্য বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে যে রাজ্য থেকে প্রধানমন্ত্রী জিতেছেন সেখানের জন্য কী ঘোষণা করা হয়েছে? উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের জন্য কোনও ঘোষণাই নেই। কৃষক বিরোধী বাজেট এটা"।
সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাজেট তৈরি করা হয়নি। আমদানির পরিমাণ বাড়ছে। তাহলে সরকারি খরচাও বৃদ্ধি পাওয়া উচিত। কিন্তু সরকারি খরচা বাড়ানো হয়নি। এইভাবে দেশ থেকে বেকারত্ব দূর করা যাবে না"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন