লখিমপুর খেরির হিংসার ঘটনায় আবারও উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তিরস্কার করল সুপ্রিম কোর্ট। পরপর দুটি এফআইআর হয়েছে এই ঘটনায়। যেখানে একটিতে কৃষকদের খুন করার অভিযোগ, অন্যটিতে কৃষক খুনের অভিযুক্তকে গণপিটুনিতে মেরে ফেলার কথা উল্লেখ আছে। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে কোনো এক বিশেষ অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং হিমা কোহলিকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবী হরিশ সালভের দিকে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে। বিচারপতি হিমা কোহলি সালভেকে প্রশ্ন করেন, কেন এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র আশিস মিশ্রের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে? এই ঘটনায় অন্যান্য অভিযুক্তদের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়নি কেন?
বিচারকদের বেঞ্চ আরও জিজ্ঞাসা করেন, অন্য অভিযুক্তরা কি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না? উত্তরে সালভে উত্তরপ্রদেশ সরকারের স্ট্যাটাস রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন - কিছু অভিযুক্ত বলেছেন যে তাদের মোবাইল ফোন নেই। বিচারপতি কোহলি পাল্টা বলেন, “এটা কি আপনার বক্তব্য যে অন্য অভিযুক্ত কারও কাছে মোবাইল ফোন ছিল না?”
বিচারক সূর্য কান্ত বলেন, দুটি এফআইআর হয়েছে, অথচ একটি এফআইআর এর প্রমাণ অন্যটিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। গাড়িতে বসে থাকা অভিযুক্ত গণপিটুনিতে মারা গেছেন। এখানে সম্ভবত কোনো নির্দিষ্ট অভিযুক্তকে বাঁচাতে এটি করা হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে আইনজীবী সালভে বলেন– দুটি আলাদা এফআইআর একসঙ্গে মিশিয়ে ফেলা হচ্ছে না। বিচারকদের বেঞ্চ প্রত্যুত্তরে জানান – “তাহলে আলাদাভাবেই তদন্ত করতে হবে”। সালভে জানান, আলাদাভাবেই তদন্ত করা হচ্ছে। কিন্তু যেহেতু অভিযুক্ত ব্যক্তি গণপিটুনিতে মারা গেছেন, তাই প্রমাণ পাওয়া খুব শক্ত।
বিচারপতি কান্ত বলেন, আদালত তদন্তকারী SIT-র কাছ থেকে আশা করে যে, তদন্ত স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ হবে। কৃষকদের মৃত্যুর ঘটনায় যারা সাক্ষ্য দিতে আসছেন তা অন্য মামলায় ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন