লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের পিষে মারার ঘটনার নিন্দা করেও বিরোধীদের সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য অংশেও এই ধরণের ঘটনা ঘটে, সেগুলো নিয়েও সমানভাবে সরব হওয়া উচিত।
এই মুহূর্তে সরকারি কাজে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন নির্মলা সীতারামন। মঙ্গলবার হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে কথোপকথন চলাকালীন লখিমপুরে চার কৃষককে পিষে হত্যা করা এবং এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিষ মিশ্রের গ্রেফতারের বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কেন প্রধানমন্ত্রী বা সিনিয়র মন্ত্রীদের কাছ থেকে এই বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি? এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কেন সবসময় অজয় মিশ্রের সমর্থনে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়?
এর উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, "না, একদমই না। আপনি যে ঘটনার কথা উল্লেখ করলেন সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা প্রত্যেকেই এটা বলেছি। পাশাপাশি এই ধরণের ঘটনা দেশের বিভিন্ন অংশে সমানভাবে ঘটছে। আমি চাই, আপনি এবং ডঃ অমর্ত্য সেন সহ আরো অনেকে, যাঁরা ভারতবর্ষকে জানেন, তাঁরা যখনই এই ধরণের ঘটনা ঘটবে তখনই এটা নিয়ে আওয়াজ তুলুন। যখন এটা আপনাদের মনের মতো হবে মানে কেবল বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এরকম কিছু হলে তখন আওয়াজ তুলবেন, এরকম যেন না হয়।"
কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের প্রায় এক বছর ধরে চলা বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে নির্মলা সীতারামন বলেন, গত এক দশক ধরে বিভিন্ন সংসদীয় কমিটি এই তিনটি আইন নিয়ে আলোচনা করেছে। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর রাজ্য সরকারগুলোর সাথে এই নিয়ে একাধিকবার পরামর্শ করেছে কেন্দ্র। যখন লোকসভায় এই আইন আনা হয় তখনও এটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল এবং কৃষিমন্ত্রী সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যসভায় আইনটি পেশ করার পরেই গন্ডগোল শুরু হয়।
অর্থমন্ত্রীর কথায়, কেবলমাত্র পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশের কৃষক এই আইনের বিরোধিতা করছে। দেশের বাকি অংশের কৃষকরা এই আইনকে স্বাগত জানিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন