পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রাকেশ কুমার জৈনকে লখিমপুর খেরি মামলার তদন্ত পর্যবেক্ষণের জন্য নিযুক্ত করল সুপ্রিম কোর্ট। সঙ্গে আরও ৩ জন সিনিয়র পুলিশ অফিসার নিয়োগ করে বিশেষ তদন্তকারী দলে (SIT) যুক্ত করেছে। ভারতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনার নেতৃত্বে বেঞ্চ জানিয়েছে, "এসআইটি (SIT) তদন্ত চালিয়ে যাবে, পরবর্তী রিপোর্টের ভিত্তিতে বিষয়টির আবার শুনানির হবে।"
প্রসঙ্গত, লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের বিক্ষোভ চলাকালীন হিংসার ঘটনায় চার কৃষক সহ মোট আট জন নিহত হয়েছেন। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্র সহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ, বিচারপতি রাকেশ কুমার জৈন ১৯৮২ সালের মে মাসে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার বার কাউন্সিলে একজন উকিল হিসাবে নথিভুক্ত হন এবং হিসার জেলা আদালতে প্র্যাকটিস শুরু করেন। ২০০৭ সালের ৫ ডিসেম্বর তিনি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
এর আগে লখিমপুর খেরির হিংসার ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল - প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে কোনো এক বিশেষ অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে।
পরপর দুটি এফআইআর হয়েছে এই ঘটনায়। যেখানে একটিতে কৃষকদের খুন করার অভিযোগ, অন্যটিতে কৃষক খুনের অভিযুক্তকে গণপিটুনিতে মেরে ফেলার কথা উল্লেখ আছে। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনার নেতৃত্বে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং হিমা কোহলিকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবী হরিশ সালভেকে বলেন – দুটি ঘটনার আলাদা আলাদা তদন্ত করতে হবে, একটি ঘটনার প্রমাণ অন্য ঘটনায় ব্যবহার করা যাবে না।
বিচারপতি হিমা কোহলি প্রশ্ন করেন, কেন এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র আশিস মিশ্রের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে? এই ঘটনায় অন্যান্য অভিযুক্তদের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়নি কেন? বিচারকদের বেঞ্চ আরও জিজ্ঞাসা করেন, অন্য অভিযুক্তরা কি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন