সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনকাণ্ডের 'মাস্টারমাইন্ড' ধৃত ললিত ঝা'কে অভিযুক্ত হিসেবে মানতে নারাজ তাঁর বাবা-মা। পাল্টা বিচারের আশায় আদালতে যাবেন বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।
সংসদে স্মোক ক্যান ব্যবহার ও বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনায় অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা'কে জিজ্ঞাসাবাদের পর থেকে একের পর এক নয়া তথ্য জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ৭টি স্মোক ক্যান নিয়ে সংসদে যান ললিতের সহকারীরা। তার মধ্যে একটি ক্যান লোকসভা কক্ষের মধ্যেই ব্যবহার করা হয়। তাঁরা চেয়েছিলেন গোটা দেশের কাছে নিজেদের দাবি জানাতে। সংসদে হামলার পর নাকি ললিত রাজস্থানে পালিয়ে যান।
বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেও তাঁকে দোষী মানতে নারাজ তাঁর বাবা ও মা। ললিত ঝা-র বাবা বলেন, 'আমাকে পুলিশ জানালো আমার ছেলে খুনের ছক কষেছিল। কিন্তু আমার বক্তব্য হলো ললিত অন্য বাচ্চার রক্ত লাগলে দান করে। সে কীভাবে এই কাজ করবে? লেখাপড়াতেও খুব ভালো ছিল ললিত। একাধিক পুরস্কারও পেয়েছিল। টিউশানির পাশাপাশি কোচিং সেন্টারেও পড়াতো। ও এই ধরণের কাজের সাথে যুক্ত থাকতে পারে না'।
ললিত ঝা-র মা বলেন, "খুবই সাধারণ ছেলে ললিত। ও অভিযুক্ত হতে পারে না। ওর বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সব মিথ্যা। প্রয়োজনে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। সেখানেই আসল বিচার হবে।"
প্রসঙ্গত, বুধবার সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন হঠাৎ দর্শকাসন থেকে দুই যুবক লাফিয়ে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করে। এরপর তারা হলুদ ধোঁয়া স্প্রে করতে শুরু করে। যার ফলে তৎক্ষণাৎ সংসদ কক্ষে হুলস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। প্রশ্ন ওঠে সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে।
দিল্লি পুলিশ তদন্তে নেমে হামলার মূল অভিযুক্ত ললিত ঝায়ের সঙ্গে বাংলার যোগ খুঁজে পায়। জানা গেছে ললিত বহু বছর ধরেই কলকাতায় বসবাস করছেন। আর এরপরেই বিজেপি ললিত ঝায়ের সঙ্গে তৃণমূল যোগের অভিযোগ তোলে। পাল্টা বিজেপিকে আক্রমণ রাজ্যের শাসক দলের।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ করেন ললিত ঝা। এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন