বিহারে নীতিশ কুমারের 'ডিগবাজি'র পরই আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবকে টানা ৯ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করল ইডি। জেরায় 'ল্যান্ড ফর জব' প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। লালুর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় এই মামলার তদন্তভার রয়েছে ইডির হাতে।
তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, চাকরির বদলে যে সমস্ত জমি নিয়েছিলেন লালু, সেগুলি সমস্ত নিজের পরিবারের সদস্যদের নামে করে নিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি এ কে ইনফোসিস্টেমস নামে এক সংস্থাও খুলেছিলেন লালু। সেই সংস্থার নামেও একাধিক জমি নিয়েছিলেন।
সোমবারই লালু কন্যা মিশা ভারতী বলেন, যখনই কোনো সংস্থা আমাদেরকে তলব করে আমরা সহযোগিতা করেছি। বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। তাই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কেউ না কেউ তাঁর সাথে যান। আর এটা তো স্পষ্ট যত লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে তত ইডি এবং সিবিআই-র মাধ্যমে বিরোধী নেতাদের চাপে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
লালুপ্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন জমির বিনিময়ে রেলে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত লালুপ্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ। লালুপ্রসাদ যাদব ছাড়াও এই ঘটনায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী, তাঁর মেয়ে মিসা ভারতী, তাঁর ছেলে তেজস্বী যাদব সহ আরও ১৪ জন। এই ঘটনায় একইসঙ্গে সিবিআই ও ইডি তদন্ত চলছে। ২০২২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করে সিবিআই।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালেই রাবড়ি দেবীর বাড়িতে হাজির হন ইডি আধিকারিকরা। এরপরেই লালুপ্রসাদ যাদব তাঁদের জানান জিজ্ঞাসাবাদ অফিসেই করা হোক। তিনি ইডি অফিসে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন। কিছুক্ষণ পরেই ইডি অফিসে মেয়ে মিসা ভারতীকে নিয়ে হাজিরা দেন লালুপ্রসাদ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন