সিবিআইয়ের রাজনৈতিক প্রভু বিজেপি। তাঁদের চাপেই RJD নেতা লালু প্রসাদ যাদব ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কথিত জমি কেলেঙ্কারিতে তদন্ত পুনরায় চালু করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন JDU সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং ওরফে লালন সিং।
এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে JDU সভাপতি লালন সিং বলেন, ‘লালু যাদবের বিরুদ্ধে মামলা সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক (Pure Vendetta)। প্রমাণের অভাবে দু’বার মামলা বন্ধ করে দিয়েছিল সিবিআই। এখন, নীতীশ কুমার আরজেডির সাথে হাত মেলানোর পর, মামলাটি আবার নতুন করে সামনে আনা হয়েছে। হঠাৎ করে সিবিআই কীভাবে সাক্ষী পেল!’
তিনি দাবি করেন, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআইকে মামলা করতে বাধ্য হতে হচ্ছে, কারণ বিরোধীদের ভয় পাচ্ছে বিজেপি। JDU সভাপতি বলেন, ‘বিরোধীদের আক্রমণ করার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে বর্তমান সরকার। শুধু বিহারে নয়, অন্যান্য রাজ্যেও তাদের রাজনৈতিক বিরোধীদের টার্গেট করছে মোদী সরকার।’
গত সোমবার, পাটনায় জমি কেলেঙ্কারির তদন্তে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। একদিন পরে, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু যাদবকেও প্রায় ৫ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অভিযোগ, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন জমির বিনিময়ে রেলের গ্রুপ-ডি বিভাগে বিহারের বহু ছেলের চাকরি করিয়ে দিয়েছিলেন লালু। সিবিআই মনে করে, এই দুর্নীতির মূল হোতা ছিলেন লালু পত্নী রাবড়ি দেবী এবং মেয়ে মিসা ভারতী। এছাড়া লালু কন্যা হেমার ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী অফিসারেরা।
গত বছরের জুলাই মাসে, এই মামলায় লালু প্রসাদ যাদবের সহযোগী এবং প্রাক্তন অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) ভোলা যাদবকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি লিখেছিল। সেই চিঠিতে সই করেছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন